কলকাতা: বাইক ট্যাক্সি চলাচলে উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকার কর ও অন্যান্য খরচে বেশ কিছু ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উদ্দেশ্যে রাজ্যের মোটর ভেহিকেল কর আইনের একটি সংশোধনী পাশ করানো হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। করোনা সংক্রমণের জেরে মঙ্গলবার থেকেই মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে বিধানসভার অধিবেশন। তার আগেই তড়িঘড়ি এই সংশোধনী পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে l পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, বাইক ট্যাক্সি চালাতে চেয়ে দশ হাজার আবেদন অনুমোদনের জন্য পরে আছে। তরুণ প্রজন্ম এই ব্যবসায় নামতে উৎসাহী। এবার করে হার কমালে আরো বেশি তরুণ এই ব্যবসায় নামতে উৎসাহী হবেন। কর্ম সংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।
ই-কমার্স, অনলাইন খাবার ডেলিভারির ব্যবসার জন্য আজকাল বাইক অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এছাড়াও যাত্রী পরিবহণের জন্য অ্যাপ নির্ভর বাইক পরিষেবাও ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। এই কথা মাথায় রেখেই বাণিজ্যিক মোটরসাইকেল বাইকের জন্য নতুন করকাঠামো আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী।তিনি জানান, বাইক ট্যাক্সি হিসাবে গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন করাতে গেলে আগে দিতে হত ৫০০ টাকা। এককালীন এই টাকা দেওয়া হত অ্যাপ্লিকেশন ফিজ হিসাবে।
তার বদলে এখন থেকে মাত্র ১০০ টাকা নেওয়া হবে। ।গোটা রাজ্যে বাইক ট্যাক্সি চালাতে পারমিট ফি বাবদ দিতে হত ১০০০০ টাকা। এখন মাত্র ২০০০ টাকা দিলেই পুরো রাজ্যে জুড়ে বাণিজ্যিক বাইক চালানোর অনুমতি মিলবে। পাশাপাশি ৫ নির্দিষ্ট জেলায় বাইক ট্যাক্সি চালাতে হলে পারমিট ফি বাবদ জমা দিতে হত ২৫০০ টাকা। এবার তা কমিয়ে ১০০০ টাকা করা হচ্ছে । এককালীন সিগনেচার ফি-র পরিমাণ ও কমানো হচ্ছে। পুরনো নিয়মে বাণিজ্যিক গাড়ি চালাতে গেলে নুন্যতম কর দিতে হত প্রায় ৮০০০ টাকা। এখন থেকে সেই টাকা কমিয়ে করা হচ্ছে ৭৮০ টাকা। দ্বিতীয় দফায় সিগনেচার ফি ও তুলে নেওয়া হচ্ছে।
শুভেন্দু বিধানসভায় জানান, এখন রাজ্যে ৬৮ টি অ্যাপ নির্ভর বাইক ট্যাক্সি চলছে। রাজ্য সরকার এই ব্যবসায় উৎসাহ দিতে চায়। তাতে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে তেমনি সাধারণ মানুষও অনেক কম খরচে যাতায়াত করতে পারবেন। বিল নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধী বিধায়কদের অনেকে যাত্রীদের নিরাপত্তা , চালকদের পুলিশি হয়রানি সহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাদের আশ্বস্ত করে পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বাইক ট্যাক্সি অনুমোদনের আগে সব দিক খতিয়ে দেখে ই ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তিনি জানান বানিজ্যিক বাইক ট্যাক্সিতে এবার থেকে হলুদ কালো নম্বর প্লেট থাকবে। যাতে আলাদা করে তাদের চেনা যায়। বাইকে থাকবে স্পিড রেগুলেটর। যাতে গতি ২০ কিলোমিটারে বেঁধে রাখা যায়। একই সঙ্গে অতিরিক্ত হেলমেট, বর্ষাকালে যাত্রীর জন্য রেনকোট রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে।