সমুদ্রের নীচে ভোজন, পাশে ঘুরপাক খাবে হাঙর! এমন রেস্তরাঁয় খাওয়ার খরচ জানেন কত?

সমুদ্রের নীচে ভোজন, পাশে ঘুরপাক খাবে হাঙর! এমন রেস্তরাঁয় খাওয়ার খরচ জানেন কত?

কলকাতা:  রোজ রোজ বাড়ির ভাত-ডাল, মাছের ঝোল খেতে কারই বা ভালো লাগে! অতিবড় স্বাস্থ্য সচেতনরাও মাঝেমধ্যে স্বাদ বদল করে থাকেন৷ আর স্বাদ বদল মানেই তো রেস্তোরাঁয় উঁকিঝুঁকি৷ পছন্দের রেস্তরাঁয় আমরা সকলেই কখনও না কখনও ঢুঁ মেরে থাকি। কোন রেস্তরাঁয় কেমন খাবার মেলে তার সন্ধান ভোজনরসিকদের কাছে ঠিকই থাকে। চলুন ঘুরে আসা যাক বিশ্বের অন্যতম কয়েকটি দামি রেস্তরাঁ থেকে৷ যেখানে রয়েছে এলাহি সব আয়োজন৷ 

 

 

আরও পড়ুন- গাম্বিয়ার পর উজবেকিস্তান, ভারতীয় ওষুধের ‘বলি’ ১৮ শিশু

সমুদ্রের নীল জলরাশিতে ডুব দিয়ে তার অতলের সৌন্দর্য উপভোগ করাটা অনেকেরই স্বপ্ন৷ তবে সেখানে বসে খাবার খাওয়া? সেতো দুঃস্বপ্ন! না এ কোনও কল্প কাহিনী নয়৷ এমন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হলে আপনাকে যেতে হবে মলদ্বীপে। সেখানে রয়েছে সমুদ্রের নীচে রেস্তোরাঁ। আপনি যেখানে বসে খাবার খাবেন তার আশে পাশে ভেসে বেড়াবে হাঙর৷ দেখা মিলবে নানারকম সামুদ্রিক প্রাণীর। 

এই রেস্তরাঁর নাম ‘ইথা আন্ডারসি’৷ মলদ্বীপের রঙ্গোলি দ্বীপে রয়েছে এটি৷ সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৫ মিটার নীচে সেখানকার বাসিন্দাদের সাক্ষী রেখে পছন্দের খাবার খেতে পারবেন আপনি৷ সেই সঙ্গে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে পারবেন পাতালের সৌন্দর্য। এই রেস্তরাঁয় একসঙ্গে ১৪ জনের বসার জায়গা রয়েছে৷ পেয়ে যাবেন জিভে জল আনা লোভনীয় সব পদ। সেই সঙ্গে রয়েছে ককটেলের ব্যবস্থা। তবে খরচ অনেকটাই। মাথাপিছু প্রায় ২৬ হাজার টাকা।

আপনি যদি গোমাংস খেতে ভালবাসেন, তাহলে যেতে হবে জাপানের টোকিয়ো শহরের আরাগাওয়া রেস্তরাঁয়। একটি পুরনো বাড়ির বেসমেন্টে তৈরি এই রেস্তরাঁয় মিলবে বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু গোমাংসের পদ৷ তবে টোকিয়োর ওই রেস্তরাঁয় খাওয়ার জন্য আপনাকে মোটা টাকা গুনতে হবে। এখানে খেতে গেলে মাথাপিছু খরচ পড়বে ২১ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা।

বিশ্বের আরও এক দামী রেস্তরাঁ হল ‘কিচো আরাশাইয়ামা’। এটিও রয়েছে জাপানে৷ এই রেস্তরাঁর অন্দরসজ্জা আপনাকে চমকে দেবে৷ সেই সঙ্গে মিলবে একসে বরকর এক  লোভনীয় খাবার৷ এখানে খেতে হলে মাথাপিছু খরচ হবে ৩১ হাজার থেকে ৪৭ হাজার টাকা। 

বিভিন্ন ধরনের মাংসের স্বাদ পেতে হলে যেতে পারেন প্যারিসের ‘গাই স্যাভয়’ রেস্তরাঁয়। হাঁস, পায়রা- থেকে শুরু করে রকমারি মাংসের পদ পাওয়া যায় এখানে৷ মাথাপিছু খরচ হবে ৩১ হাজার টাকা থেকে ৫১ হাজার টাকা৷

১১ রকমের লোভনীয় পদ চেখে দেখতে হলে যেতে হবে সুইৎজারল্যান্ডের ডি ল’হোটেল ডি ভিলে রেস্তরাঁয়। সেখানে মিলবে ১৪ রকম ওয়াইন৷  বিশ্বের অন্যতম সেরা এই রেস্তোঁরায় মাথাপিছু খাওয়ার খরচ হবে প্রায় ৩৪ হাজার টাকা।

খাবার-দাবার নিয়ে কি পরীক্ষানিরীক্ষা করার সখ থাকলে আপনার জন্য সেরা ঠিকানা প্যারিসের ‘ম্যায়সন পিক ভেলেন্সে’ রেস্তোরাঁ। এই রেস্তরাঁয় মাথাপিছু খরচ হবে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা।

আরও একটি রেস্তরাঁর কথা না বললেই নয়৷ সেটি হল নিউ ইয়র্কের মাসা। আপনি যদি সুশি পছন্দ করে থাকেন, তাহলে এখানে এক বার আসতেই হবে। বলা হয়, বিশ্বের সেরা সুশি নাকি এই রেস্তরাঁতেই মেলে৷ এখানে মাথাপিছু খরচ প্রায় ৪৯ হাজার টাকা। 

চিনের সাংহাই শহরে ‘আল্ট্রাভায়োলেট’ রেস্তরাঁও বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল। পানীয় বাদে এই রেস্তরাঁয় মাথাপিছু খরচ পড়বে প্রায় ৪৭ হাজার টাকা থেকে ৭৪ হাজার টাকার মতো।

বিশ্বের অন্যতম সেরা বিলাসবহুল ও দামী রেস্তরাঁ হল নিউ ইয়র্কের ‘পার সে’। একাধিক সুস্বাদু খাবারের হদিশ মেলে এর হেঁশেলে। এখানে নিরামিষ খাবারও রয়েছে৷ সেই সঙ্গে মিলবে ফরাসি ও আমেরিকার নানা খানাপিনা৷ এই রেস্তরাঁয় মাথাপিছু খরচ পড়বে প্রায় ৫৬ হাজার টাকা। 

এখনও পর্যন্ত যে সকল রেস্তরাঁগুলির কথা বলা হল, তার চেয়ে একেবারেই আলাদা স্পেনের ‘সাবলিমোশন’। বিশ্বের সবচেয়ে দামি রেস্তরাঁ এটি। এখানে মাথাপিছু খরচ প্রায় ১ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। গ্রীষ্মকালে কয়েক মাসের জন্যেই খোলে এই রেস্তরাঁ৷ ১ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকে এর দরজা৷  প্রায় ২৫ জন শেফ আপনাকে ২০ রকমের খাবার পরিবেশন করবেন৷ তবে এখানে আসার জন্য আগে থেকে টিকিট বুক করতে হবে৷ আপনিকে যে টিকিটটি দেওয়া হবে, সেটি খাওয়া যাবে৷