child
জেরুসালেম: গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে ইজরায়েল বনাম হামাসের লড়াই৷ চলছে রক্তের হোলি খেলা৷ গাজায় একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে একের পর এক বহুতল৷ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে কত মানুষের৷ প্রাণ বাঁচাতে গাজা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের কাজ চলছে লাগাতার৷ এরই মধ্যে উঠে এল চোখে জল আনা একটি দৃশ্য৷
১৩ তলার একটি বাড়ি এমনই এক রকেট হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছিল। ধ্বংসস্তূপের নীচে কেউ আটকে রয়েছে কি না, তার খোঁজ চালাচ্ছিল উদ্ধারকারী দল। কংক্রিটের বড় বড় চাঙড় সরাতেই শিউড়ে ওঠেন উদ্ধারকারীরা৷ তাঁরা দেখেন ধ্বংস্তুপের নীচে পড়ে রয়েছে এক মহিলার নিথর দেহ। তাঁর পাশেই শুয়ে ছোট্ট একটি শিশু। সে তার মায়ের স্তন্যপান করছে। এই করুন দৃশ্য দেখে কেঁদে ফেলেন উদ্ধারকারী দলের অনেকেই।
এখনও পর্যন্ত হামাসের আক্রমণে ইজরায়েলে ১৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। অন্য দিকে, ক্রমাগত গাজার হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল৷ মৃত্যু হয়েছে ১৪০০ জনের। আহমেদ নামের এক ব্যক্তির দাবি, ১৩ তলার যে বহুতল থেকে মহিলার দেহ এবং শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, ওই বহুতলের ১৩ তলায় তাঁর বোন থাকতেন। বোনের খোঁজেই তিনি সেখানে এসেছিলেন। এসে দেখেন ওই বহুতলটি রকেটহানায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে। আহমেদ জানান, তাঁর ভাগ্নে ইয়ামিনের বয়স মাত্র এক মাস। মেনিনজাইটিসে ভুগছিল সে৷ দু’দিন আগে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। এই ঘটনায় আহমেদের বোন মারা গেলেও, অদ্ভূতভাবে বেঁচে গিয়েছে তাঁর ভাগ্নে। যেন কোনও মীরাকেল৷