রাম রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে সংখ্যালঘুদের বিশেষ বার্তা দিলেন শুভেন্দু

রাম রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে সংখ্যালঘুদের বিশেষ বার্তা দিলেন শুভেন্দু

5d244fb0503418477347d518a2b286ce

নিজস্ব প্রতিনিধি: শুধুমাত্র হিন্দু ভোটের উপর ভর করে যে রাজ্যের প্রত্যেকটি আসনে লড়াই দেওয়া যাবে না, সেটা ভাল করেই বোঝেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ শুভেন্দু অধিকারী। তাই বেশ কিছুদিন ধরেই সংখ্যালঘু সমাজকে বিশেষ বার্তা দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। ফের তাঁকে এই ভূমিকায় দেখা গেল সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রচারে। রবিবার প্রচারের শেষ দিনে জঙ্গিপুরে জনসভা করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা রাম রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে সংখ্যালঘু সমাজের উদ্দেশে বলেছেন,”বিজেপির সমর্থক অনেক মুসলিম এখানে এসেছেন। আপনাদের বলছি আমি জয় শ্রীরাম বলি, এতে লুকোনোর কিছু নেই। কিন্তু আপনাদের আমি বলব না জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে। আপনি অন্য ধর্মে বিশ্বাসী। কিন্তু বিজেপি আপনাদের রাম রাজ্য উপহার দিতে চায়। রাম রাজ্য মানে কী জানেন? মাথায় ছাদ, পেটে ভাত, হাতে কাজ। বিজেপি আপনাকে সুশাসন দিতে চায়। বিজেপি আপনাকে সুরক্ষা দিতে চায়। সুস্বাস্থ্য দিতে চায়।” 

জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে গতবার বিজেপি প্রার্থী সাড়ে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। সেটা মাথায় রেখেই শুভেন্দু এবার সংখ্যালঘু সমাজকে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গিপুরে এবার ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। একদিকে তৃণমূল, অন্যদিকে বাম সমর্থিত কংগ্রেস এবং তৃতীয় পক্ষ হিসেবে রয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি এবার একটু ভোট বাড়াতে পারলেই জঙ্গিপুর কেন্দ্রে অন্যরকম ফল দেখা যেতেই পারে। তাই রাম রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু যে বক্তব্য রেখেছেন তার যথেষ্ট রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘটনা হল রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান এবং ‘রামরাজ্য’ ন্যারেটিভ নিয়ে প্রচুর চর্চা হয়েছে। সেই জায়গা শুভেন্দু বোঝাতে চাইলেন তিনি জোর করে এমন স্লোগান কারও উপর চাপিয়ে দিতে চান না। নিঃসন্দেহে এটা সংখ্যালঘুদের মন জয় করার একটা কৌশল। আসলে এভাবেই তিনি সব সম্প্রদায়ের মন ছুঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এর সুফল ভোটবাক্সে পাওয়া যাবে বলে গেরুয়া শিবির মনে করছে। যা জানা যাবে ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশের দিনেই।

ad 728x90 1

ad 728x90 1

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *