বিশ্বমঞ্চে সেরা জায়গায় স্থান কেসি দাসের রসগোল্লার, মিষ্টি মানচিত্রে শহরের জয়

কলকাতা: আপনি পৃথিবীর যে কোনও স্থানে থাকতে পারেন। তবে কেউ যদি শোনে আপনি বাঙালি, তাহলে প্রথম যে কয়েকটি কথা আপনাকে শুনতে হবে তা হল, 'আমি তোমাকে ভালোবাসি', 'মিষ্টি দই', 'রসগোল্লা'। একটা কথা স্পষ্ট, বাংলা তথা বাঙালির সঙ্গে মিষ্টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর বাংলার রসগোল্লার যে বিশ্বজোড়া খ্যাতি তা কারোর অজানা নয়। এটাও সকলে জানেন যে, কলকাতার কেসি দাসের রসগোল্লার আলাদা পরিচিতি আছে। তা থেকেই আমাদের মিষ্টি মানচিত্রে ঠাঁই। সেই রসগোল্লাই এবার জায়গা করে নিল দারুণ জায়গায়। গর্ব বাড়ল কলকাতা তথা পশ্চিমবাংলার।
বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সংস্থা টেস্ট অ্যাটলাসের মিষ্টি তালিকায় ২৫ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে কেসি দাস মিষ্টি দোকানের রসগোল্লা। তবে শুধু এই দোকান না, কলকাতার আরও দুই দোকানের মিষ্টি স্থান পেয়েছে এই তালিকায়। ২৬ নম্বরে আছে ফ্লুরিজ। রাম বল নামের এক বিশেষ ধরনের কেক এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। আর সন্দেশের জন্য ৩৭ নম্বরে স্থান পেয়েছে বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক। পৃথিবীর সেরা ১৫০টি ডেজার্ট প্লেস বা মিষ্টিমুখ করা যায় এমন গন্তব্যের নামের এই তালিকা প্রকাশ গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশ পেয়েছে। তাতেই ৩টি জায়গা আছে কলকাতার।
এই তালিকায় ভারতের থেকে শীর্ষ আছে পুনের কায়ানি বেকারি। এটি এই তালিকায় ১৮ নম্বর স্থান পেয়েছে। মাওয়া কেকের জন্য এরা বিখ্যাত। আর গোটা বিশ্বের নিরিখে শীর্ষ স্থানে আছে পর্তুগালের লিসবন শহরের বেকারি পাস্তেস দে বেলেম। পাফ পেস্ট্রির জন্য যার খ্যাতি জগত জোড়া।