ছুঁয়েছে পারদ! গাছের গুঁড়ির রিংয়ে লেখা আছে অবৈধ খননের ইতিহাস

illegal gold mining in amazon কলকাতা: আমাজনের জঙ্গল মানেই যেন সবুজে মোড়া রহস্য আর প্রাকৃতিক সম্পদের বিপুল ভাণ্ডার। সেখানেই বছরের পর বছর ধরে চলছে সোনা…

illegal gold mining in amazon

illegal gold mining in amazon

কলকাতা: আমাজনের জঙ্গল মানেই যেন সবুজে মোড়া রহস্য আর প্রাকৃতিক সম্পদের বিপুল ভাণ্ডার। সেখানেই বছরের পর বছর ধরে চলছে সোনা খোঁজার উন্মাদনা। খনির নামে জঙ্গল কেটে, নদী-মাটি সব ধ্বংস করে চলছে অবৈধ খনন। অনেক জায়গায় রিজার্ভ প্রায় ফুরিয়ে এলেও থামছে না সেই লোভের খোঁড়াখুঁড়ি। সোনার লোভেই বছরের পর বছর ধরে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে পৃথিবীর ফুসফুস বলে খ্যাত আমাজনের এই জঙ্গল৷ (illegal gold mining in amazon)

তবে এবার সেই বেআইনি সোনার খনির হদিস দিচ্ছে জঙ্গলের নিজস্ব বাসিন্দা—গাছ! না, মাটি খুঁড়ে নয়, গাছের শরীরেই লুকিয়ে আছে খননের বিষাক্ত চিহ্ন।

পারদই ফাঁস করছে গোপন সত্য illegal gold mining in amazon

সোনার ছোট ছোট কণা খুঁজে বের করতে মাটি বা পাথরে পারদ (Mercury) মেশান হয়। পারদ সোনার সঙ্গে মিশে তৈরি করে অ্যামালগাম, যেটা আগুনে গরম করলে সোনা বেরিয়ে আসে—আর বাকি পারদ ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে, মাটিতে, জলে।

এই পারদই ধীরে ধীরে চলে যায় আশেপাশের গাছের শরীরে। ঠিক সেখানেই নজর পড়েছে গবেষকদের।

গবেষণার মূল নায়ক: ফিকাস ইনসিপিডা illegal gold mining in amazon

Cornell University-র বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, আমাজনের একটি সাধারণ বন্য গাছ, ফিকাস ইনসিপিডা (Ficus insipida), দারুণভাবে সংরক্ষণ করে পারদের উপস্থিতি—ঠিক যেন একটা জীবন্ত ডেটা রেকর্ডার!

এই গাছ বছরে বছরে গুঁড়ির ভেতরে রিং তৈরি করে, যেমনটা আমরা বড় গাছের গুঁড়িতে দেখি। সেই রিং পরীক্ষা করলেই বোঝা যাচ্ছে, কোন বছরে কত পারদ গাছের শরীরে ঢুকেছে—মানে সেই অঞ্চলে তখন খননের দাপট কতটা ছিল।

কোথায় চালানো হয়েছে গবেষণা? illegal gold mining in amazon

পাঁচটি আলাদা জায়গা থেকে এই গাছের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে—যার মধ্যে তিনটি ছিল খনি শহরের কাছাকাছি, আর দুটি ছিল বেশ দূরে। অনুমান মতোই, খনির কাছে থাকা গাছগুলোতে পারদের মাত্রা ছিল অনেক বেশি।

বিশেষ করে পেরুর আমাজন অঞ্চল, যেখানে খনিই পারদ নির্গমনের মূল উৎস, সেখানকার গাছগুলোতে ছিল সবচেয়ে বেশি পারদ।

২০০০ সালের পর থেকে বেড়েছে দূষণ illegal gold mining in amazon

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ২০০০ সালের পর থেকেই পারদের পরিমাণ ধাপে ধাপে বেড়েছে—যে সময় থেকে এই অঞ্চলে খননের মাত্রা আকাশছোঁয়া হয়েছে।

পরিবেশ রক্ষায় নতুন হাতিয়ার illegal gold mining in amazon

এই গবেষণা শুধু বিজ্ঞান নয়, পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়েও এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে। কারণ, গাছের মতো সহজলভ্য, কম খরচের মাধ্যম ব্যবহার করে কোনো এলাকা কতটা দূষিত হয়েছে, তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে।

এটা গুরুত্বপূর্ণ জাতিসংঘের ‘Minamata Convention on Mercury’-এর দৃষ্টিকোণ থেকেও, যেখানে বিশ্বজুড়ে পারদের ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়েছে।

Entertainment: Illegal gold mining is devastating the Amazon rainforest, but trees are revealing the hidden truth. Mercury contamination from mining is absorbed by native trees like Ficus insipida, acting as living data recorders. Scientists uncover alarming environmental damage.