কলকাতা: দেশের সঙ্গীত জগতে অপূরণীয় ক্ষতি করে দিয়ে তিনি চলে গিয়েছে অন্য সুরলোকে। তবে বাপ্পি লাহিড়ী যা সৃষ্টি করে দিয়ে গিয়েছেন তা জনপ্রিয় থাকবে অনন্তকাল। তাঁর গাওয়া গান, গানের সুর সব নিয়ে আলোচনা এবং চর্চা হয়েছে সর্বদা। পাশাপাশি আরও একটি বিষয় ছিল যা নিয়ে চর্চার কোনও খামতি ছিল না। সেটি হল তাঁর সোনার গয়না। বারবার প্রশ্ন উঠে এসেছে যে তিনি কেন এত সোনার গয়না পরেন। কেই বা তাঁর অনুপ্রেরণা ছিল। সেই সব প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন এক সময়। জানিয়েছেন, সোনা পরা কখনই তাঁর কাছে ‘লোক দেখানো’ বিষয় ছিল না।
আরও পড়ুন- মাত্র ১৯ বছর বসয়ে মুম্বইয়ে পা, অনবদ্য স্টাইলে ডিস্কোকে বলিউডে নিয়ে এসেছিলেন বাপ্পি দা
বাপ্পি লাহিড়ী মানেই ‘ডিস্কো’ গান, বাপ্পি লাহিড়ী মানেই সোনার চেন, বালা, লকেট। বাপ্পি লাহিড়ীকে দেখা যাবে অথচ তাঁর গলায়, হাতে সোনা থাকবে না, এটা হতেই পারত না। এটাই তাঁর একটা আলাদা পরিচিতি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এত সোনার গয়না পরার আসল কারণ কী ছিল, তা তিনি নিজেই খোলসা করেছিলেন। সালটা ২০১৬। সেই সময়ের এক সাক্ষাতকারে বাপ্পি লাহিড়ী জানিয়েছিলেন তাঁর ‘সোনার রহস্য’।
বাপ্পি বলেছিলেন, তিনি প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন নিজের জন্য একটা আলাদা পরিচিতি তৈরি করতে। ঠিক যেমন ছিল এলভিস প্রেসলির। তিনিও সোনার গয়না পরে থাকতেন। আর বাপ্পির অনুপ্রেরণা ছিল যীশুখ্রিস্ট্রের ক্রস, মাইকেল জ্যাকশনের সানগ্লাস। এছাড়াও আরও বড় কারণ ছিল, সৌভাগ্য। বাপ্পি লাহিড়ী মনে করতে যে, সোনা তাঁর জন্য ‘লাকি’। ঠিক এই কারণেই এত সোনার গয়না পরতেন তিনি।
দেশের ‘গোল্ডেন বয়’ এক সাক্ষাতকারে বলেন, তিনি বিখ্যাত গায়ক এলভিস প্রেসলির বিরাট ভক্ত ছিলেন। তিনিও সোনার গয়না পরে থাকতেন। তাই তিনি ভেবেছিলেন একদিন যদি সাফল্য পান তাহলে নিজের জন্যও এক আলাদা স্টাইল তৈরি করবেন। অনেকেই মনে করেন যে, তিনি শুধুমাত্র লোক দেখাতে এত সোনা পরতেন। কিন্তু আদতে ব্যাপারটা তা নয় বলেই স্পষ্ট করেছিলেন বাপ্পি’দা।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ২১ বছর বয়সেই তিনি বুঝে যান যে, সোনা তাঁর জন্য লাকি। আসলে তাঁর মা তাঁকে একটি সোনার লকেট দিয়েছিল এবং তার পরেই তিনি কাজ করেন ‘জখমি’তে। সেটাই ছিল ব্লকবাস্টার। তারপর থেকেই সোনার প্রতি তাঁর বিশ্বাস আরও বাড়তে থাকে। পরে স্ত্রী’র কাছ থেকে সোনার লকেট পেয়েছেন তিনি, যা তাঁকে আরও সাফল্য এনে দিয়েছে বলে মনে করতেন ‘ডিস্কো কিং’।