মুম্বই: অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের মুম্বইয়ের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি। অভিনেতার বাড়িতে বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। তাঁর শ্যালক আদিত্য আলভায়ের বিরুদ্ধে মাদক চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণেই বেঙ্গালুরু পুলিশ তল্লাশি চালায়।
বেঙ্গালুরু পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সন্দীপ পাতিল বলেছেন, “আদিত্য আলভা পলাতক। বিবেক ওবেরয় তাঁর আত্মীয়। আমরা জানতে পেরেছিলাম যে আলভা তাঁর বাড়িতেই রয়েছে। তাই আমরা যাচাই করতে চেয়েছিলাম। আদালতের পরোয়ানা পাওয়ার পর ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা মুম্বইয়ের বিবেকের বাড়িতে গিয়েছেন।” কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী জীবরাজ আলভার ছেলে আদিত্য আলভা ‘স্যান্ডালউড ড্রাগ কেস’-এর সঙ্গে জড়িত হিসাবে অভিযোগ উঠেছে। তিনি কান্নড় চলচ্চিত্র জগতের গায়ক এবং অভিনেতাদের জন্য মাদক সরবরাহ করতেন বলেও অভিযোগ। এই মামলায় পুলিশ এমন জানতে পেরেছে তাঁকে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে ‘স্যান্ডালউড’ বলা হত।
পুলিশ মাদক বিক্রয় ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে তল্লাশি চালায়। রেভ পার্টির আয়োজকদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। বিবেক ওবেরয়ের বাড়ি ছাড়াও আদিত্য আলভার মা নন্দিনী আলভার মালিকানাধীন বেঙ্গালুরুর হেব্বল হ্রদের নিকটে পাঁচ একরের সম্পত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছিল। গত মাসে চালানো এই অভিযানেও আলভাকে খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন যে ওই সম্পত্তিতে একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেখানেই রেভ পার্টিতে ড্রাগগুলি সেবন করা হয়েছিল।
অভিনেত্রী সুশান্ত সিং রাজপুতের জুনে মৃত্যুর তদন্তে উঠে আসা বলিউডে মাদকের ব্যবহারের অভিযোগের পরেই বেঙ্গালুরু কেলেঙ্কারির কথা সামনে আসে। সুশান্ত মামলা হাতে নিয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই শৌভিককে। কিছুদিন আগে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। ১ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে রিয়াকে। অভিনেত্রীকে জানানো হয়েছে তাঁকে রোজ এজলাসে হাজিরা দিতে হবে। যদি কোনও কারণে তিনি অনুপস্থিত থাকেন তবে তার উপযুক্ত কারণ জানাতে হবে। তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে রিয়াকে। কোনওভাবেই তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। যদি কোনও কারণে তাঁকে দেশের বাইরে যেতে হয়, তবে গ্রেটার মুম্বইয়ের NDPS আদালতের বিশেষ বিচারপতির অনুমতি লাগবে। এমনকী তাঁকে গ্রেটার মুম্বইয়ের বাইরে যেতে হলেও তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে রিয়াকে। বুধবার থেকে ১০ দিন পর্যন্ত তাঁকে প্রতিদিন নিকটবর্তীর থানায় হাজিরা দিতে হবে। এরপর থেকে ছ’মাস পর্যন্ত প্রতিমাসের প্রথম সোমবার তদন্তকারী সংস্থার অফিসে উপস্থিত হতে হবে।