বছরের শুরুতেই সুসংবাদ, জানুয়ারিতেই গাঁটছড়া বাঁধছেন বরুণ-নাতাশা

মুম্বই: আর বেশিদিন নেই। এই মাসের শেষের দিকেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন বরুণ ধাওয়ান এবং নাতাশা দালাল। বলিউডের অন্দরে জল্পনা এমনই। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশ পেয়েছে। যদিও বরুণ বা নাতাশার তরফে এখনও এনিয়ে কিছু চূড়ান্ত করা হয়নি।

মুম্বই: আর বেশিদিন নেই। এই মাসের শেষের দিকেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন বরুণ ধাওয়ান এবং নাতাশা দালাল। বলিউডের অন্দরে জল্পনা এমনই। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশ পেয়েছে। যদিও বরুণ বা নাতাশার তরফে এখনও এনিয়ে কিছু চূড়ান্ত করা হয়নি।

শোনা গিয়েছে আলিবাগে বিয়ের আসর বসতে চলেছে। ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই বরুণ ও নাতাশার। আলিবাগের পাঁচতারা হোটেলেই তাঁদের বিয়ে সারতে হবে। বিয়েতে আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠরাই উপস্থিত থাকবেন। ধাওয়ান পরিবারের তরফে ‘ফিট ফ্যাট পাঞ্জাবি ওয়েডিং’-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর। এছাড়া করোনার কারণে ধাওয়ান পরিবারের নিমন্ত্রিতদের তালিকায় বেশ কিছু কাটছাট করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে জাঁকজমকের কোনও কমতি হবে না বলে খবর। তবে কারা কারা বরুণ ও নাতাশার বিয়েতে উপস্থিত হচ্ছেন, তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তাঁদের রিসেপশন কোথায় হবে, জানা যায়নি তাও।

করিনা কাপুরের রেডিও শো ‘হোয়াট ওমেন ওয়ান্ট’-এ এসেছিলেন বরুণ ধাওয়ান। সেখানে নাতাশাকে বরুণের ‘ফিয়সেঁ’ বলেন তিনি। বোঝাই যাচ্ছে করোনা পরিস্থিরি মধ্যেই লোকচক্ষুর আড়ালে আংটি বদল সেরে ফেলেছেন বরুণ। তবে বিয়ের ব্যাপারে বরুণ কিন্তু স্পষ্ট করেননি কিছু। কবে বিয়ে করবেন, তা জানাননি। কিন্তু বিয়ে করার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এতগুলো বছর কারুর সঙ্গে কাটানোর পর বিয়ে করাটা স্বাভাবিক। তবে এ ব্যাপারে তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছেন তাঁর দাদা ও বৌদি। কারণ যখনই তিনি তাঁর ভাইঝি নিয়ারাকে দেখেন, তখন মনে হয় বিয়েটা দারুণ ব্যাপার।

এই শোয়ে আরও একটি কথা বলেন বরুণ। জানান, নাতাশার সঙ্গে লিভ ইন করার ইচ্ছা তাঁর। আর এই ইচ্ছা সাম্প্রতিক নয়, দীর্ঘদিনের। কিন্তু পরিবারের তরফে আপত্তি রয়েছে। তাই এখনও তাঁর ও নাতাশার লিভ ইন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সমস্যা কোন পরিবারের? বরুণের বক্তব্য নাতাশার বাবা-মার লিভ ইন নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তাঁর বাড়িতে ছবিটা একেবারে উলটো। অভিনেতা এও বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের পর প্রেমিক ও প্রেমিকা একসঙ্গে থাকতে চায়। তাঁদের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। তাঁদের দুজনের বিয়ে ছাড়াও একসঙ্গে থাকতে সমস্যা নেই। কিন্তু বরুণের বাবা-মা এ ব্যাপারে মত দেননি। আর দেবেনও না। ফলে বরুণের নিজের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও লিভ ইন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − two =