ঢাকা: আরও দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করল আদালত। বাড়িতে বিপুল পরিমাণে মাদক ও মাদকদ্রব্য রাখার অপরাধে কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনিকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে অভিনেত্রীর ৪ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছিল ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালত। এবার আদালতের কাছে আরও ৫ দিন পুলিশি হেফাজত চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ। কিন্তু আদালত শুনানিতে মাত্র দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। আদালত থেকে বেরনোর পথে এই প্রথম এতদিন ধরে জমিয়ে রাখা ক্ষোভে ফেটে পড়লেন পরীমনি।
আদালত থেকে তখন পরীমনিকে দূর্ভেদ্য নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে, চারিদিকে সাংবাদিকদের ঢল নেমেছে। অসংখ্য মানুষের ভিড়ের মধ্যে আচমকা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে উঠলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত ও কুখ্যাত অভিনেত্রী পরীমনি। চিৎকার করে তিনি বললেন, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। একটা মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যা মামলা করা হয়েছে তা ১০০ শতাংশ মিথ্যা। আমাকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। আর আপনারা কী করছেন? তাকিয়ে দেখছেন? আমাকে ওপেন সার্চ করা হোক।”
গত বুধবার ঢাকার বনানীতে পরীমনির পাঁচতলা ফ্ল্যাটে আচমকা হানা দেয় বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। প্রথমে দরজা না খুলে ফেসবুক লাইভে কান্নাকাটি করে নাটক শুরু করলেও পরে অভিনেত্রী দরজা খুলতে বাধ্য হন। পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মদ, মদের খালি বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট-সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেন। জানা গিয়েছে, পরীমনির ওই ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যেই রেভ পার্টি ও ডিস্কো পার্টির আসর বসতো। এই পার্টিতে যারা আসতেন তারা প্রায় সকলেই আন্তর্জাতিক মাদক চক্র ও দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।