কলকাতা: দীর্ঘ ২৭ বছরের কেরিয়ার তিনি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রির ‘রাজনীতি’র শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। এখন আর্থিক অনটনে পড়েছেন তিনি। তাই চলচ্চিত্র জগতকে এক পাশে ফেলে এসে খাবারের দোকান খুলেছেন বাংলার ছবির পরিচালক-অভিনেতা প্রেমাংশু রায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের দোকানের ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। যা রীতিমত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন- শহরে কালবৈশাখী আসতে আর কতদিন? হাওয়া অফিস দিল বড় ইঙ্গিত
আদতে বাংলা নাট্য জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ তিনি। এছাড়াও ঋত্বিক চক্রবর্তী, ব্রাত্য বসু, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘চিলেকোঠা’ ছবির পরিচালক প্রেমাংশু। কিন্তু এখন চরম আর্থিক কষ্টে ভুগছিলেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে সেইভাবে আর কাজ পাওয়া হচ্ছিল না তাই নিজের অর্থের সমস্যা দূর করতে পয়লা বৈশাখের দিন নিজের একটি ফুড কর্ণার খোলেন তিনি। একই সঙ্গে এটাও জানান যে কেন তিনি নিজের পছন্দের জায়গা ছেড়ে দিলেন ২৭ বছর পর। বরং বলা ভালো, কেন ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেন। যদিও সরাসরি কারোর নামে অভিযোগ বা বিস্ফোরক মন্তব্য করেননি তিনি। কিন্তু যেটুকু বলেছেন তাতে আসল ব্যাপার যে কী তা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হবে না।
কিছুদিন আগেই একটি পোস্ট করেছিলেন প্রেমাংশু। তাতে তিনি লিখেছিলেন, ”আপাতত বাংলা নাট্য জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। যদিও এটা বড় কোন খবর নয়। আমি থেকেও বাংলা নাট্য জগতে বিশাল কোন সৃষ্টি বা উন্নতি করতে পারিনি গত সাতাশ বছরে… প্রথম কারন হলো, নিজস্ব আর্থিক সমস্যা। দ্বিতীয় কারন হলো, পুরোটাই ব্যক্তিগত, তাই সকলকে বলা যাবে না। আর তৃতীয় কারন হলো, এত বছর নাট্য যাপনের (ভুল বা ঠিক যেটাই হোক) পর বুঝলাম, আমি এখনও মানুষ চিনতে শিখিনি। যদি সাতাশ বছর নাট্য যাপন করে মানুষ চিনতেই না শিখতে পারি, তবে আমার নিজেকে নাট্য কর্মী বা শিল্পী পরিচয় দেওয়াই মানায় না। তবে তারমানে এটা নয় যে আমার কারও নামে কোনও অভিযোগ আছে। নিজের ছাড়া কারও নামে কোনও অভিযোগ আমার নেই। এই জগতে সকলেই ভালো, আমি ছাড়া।”
আরও পড়ুন- বালিগঞ্জে ভরাডুবি! জামানাত জব্দ বিজেপি’র
তবে এই পোস্টে তিনি অনেকের ‘মুখোশ’ খোলার কথাও উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, ”একেবারে চলে যাচ্ছি না। ফিরবো তো অবশ্যই। কারন, অনেককে অনেক উত্তর দেওয়া বাকি, মুখোশ খোলা বাকি এবং সবার উপরে নিজের কিছু স্বপ্নের কাজ করা বাকি।।” এর আগেও অনেকে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ‘রাজনীতি’ নিয়ে সরব হয়েছেন। বেশ কিছু খ্যাতনামা মুখের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন সরাসরি। এবার এই পরিচালক যেন এই বিষয়টি আরও বেশি স্পষ্ট করে দিলেন।