মুম্বই: ভারতে #মিটু আন্দোলনের শুরুটা করেছিলেন তনুশ্রী দত্ত৷ গত বছর তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই চলচ্চিত্র জগতের নানা মুখ ও মুখোশ খুলে যেতে থাকে। সম্প্রতি তনুশ্রী জানিয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা ও কাজ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা ভঙ্গ করেছেন অভিনেতা অজয় দেবগন৷ অভিনেতা আলোকনাথের সঙ্গে ‘দে দে প্যায়ার দে’ সিনেমায় কাজ করছেন অজয়। তনুশ্রী বলেন, টিনসেল টাউনে মিথ্যাবাদী, দেখনদার ও মেরুদণ্ডহীন দ্বিচারী মানুষের ভিড় এখন। অজয় দেবগন সেই মানুষদের মধ্যেই একজন বলে উল্লেখ করেছেন অভিনেত্রী।
তনুশ্রী তাঁর বিবৃতিতে বলেন, “ভারতে #মিটু আন্দোলনের সময়, অভিনেতা টুইট করে জানান অভিযুক্তদের সঙ্গে আর কখনও কাজ করবেন না তিনি৷ এখন বিস্ময়কর বিষয় হল, ধর্ষণ ও হেনস্থায় অভিযুক্ত আলোকনাথের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি৷ বলিউডে ফিরে আসার জন্য তাঁকে সমর্থনও করছেন।”
অজয় দেবগন আগে যুক্তি দিয়েছিলেন, আলোক নাথের অভিনীত ওই অংশগুলি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনেক আগেই শ্যুট করা হয়েছিল। এ বিষয়ে তনুশ্রী দত্ত বলেন, “আলোকনাথ যে সিনেমায় রয়েছেন তা পোস্টার ও ট্রেলার না এলে কেউ জানতেও পারতেন না, তাই নির্মাতারা চাইলে ধীরেসুস্থেই তাঁকে সরিয়ে দিতে পারতেন৷ তাঁর অংশগুলি পুনরায়শ্যুট করে নিতে পারতেন৷ দিন ১০-১৫ মোটে লাগত। বিনতা নন্দাকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হত, আরও অনেক মহিলাকেই মর্যাদা দেওয়া যেত যাঁদের এই লোকটি বিরক্ত করেছেন, কিন্তু তা হল না!”
২০১৮ সালের অক্টোবরে, বিনতা নন্দা আলোকনাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তনুশ্রী দত্ত ২০০৮ সালের একটি চলচ্চিত্রের সেটেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে। যৌন হেনস্থাকারী হিসাবে আরও বেশি বেশি করে নাম উঠে আসায় টুইটারে বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটি তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অজয় দেবগন টুইট করেন, “আমি #মিটু সম্পর্কিত সমস্ত ঘটনা নিয়ে বিরক্ত। আমার কোম্পানি ও আমি নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা ও নিরাপত্তা প্রদানে বিশ্বাস করি। যদি কেউ একজন নারীর বিরুদ্ধে অন্যায় করেন, তবে এডিএফ কিংবা আমি তাঁর হয়ে দাঁড়াবো না।”