কলকাতা: অভিনয় দক্ষতায় তিনি অনবদ্য৷ পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান ছবিতে তাঁর অভিনয় বিশ্ব দরবারে প্রশংসা কুড়িয়েছে৷ তিনি জনি ডেপ৷ প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের সঙ্গে বিচ্ছেদের মামলাতেও তিনি জয়ী৷ কিন্তু এই হাই-প্রোফাইল মামলা খুলে দিয়েছে এক ভয়ঙ্কর মুখোশ৷ এমন কিছু কথা উঠে এসেছে, যা সকলকে ভাবিত করেছে৷ গার্হস্থ্য হিংসা, শারীরিক নির্যাতন থেকে শুরু করে জোড় করে যৌন সম্পর্ক৷ এই মামলায় উঠে এসেছে তাঁদের দাম্পত্যের কোলাহল৷
আরও পড়ুন- কেকে-বিতর্কের জের, বাংলা ছবি থেকে বাদ পড়ল রূপঙ্করের গান, বদলে এলেন অরিজিৎ
আসলে শুরু থেকেই তাঁদের সম্পর্ক দুর্বল ছিল৷ না হলে বিয়ের এক বছরের মাথায় আদালতের দোরগোড়ায় যেতে হত না তারকা দম্পতিকে৷ সম্পর্ক গড়ার আগে অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকেই নজর রাখা উচিত ছিল তাঁদের৷ তাহলে হয়তো এই পরিস্থিতি তৈরি হত না৷ সম্পর্কে থাকার সময় আপনার বিপরীতে থাকা মানুষটির ছোট ছোট বিষয়গুলির দিকেও আপনার বিশেষ নজর রাখা উচিত। আপনি কি আদৌ সেটা করেন? তাহলে এই বিষয়টির দিকেও অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, মানুষটি সত্যিই আপনাকে ভালোবাসেন কিনা? আপনার কথা না ভেবে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন কিনা৷ আপনাকে কি নিজের কথায় উঠতে-বসতে বাধ্য করেন? প্রথম থেকেই এই বিষয়গুলি নজর করুন৷
সঙ্গীর ঘাড়ে যাবতীয় দোষ চাপাবেন না- যাবতীয় ঘটনার দায় সঙ্গীর ঘাড়ে চাপানোটা অন্যায়৷ বলা যায়, এটা অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যাস৷ সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের কথায়, একে বলে ‘গ্যাসলাইটিং’ করা৷ এইক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি তাঁর সঙ্গীর উপর যাবতীয় দায়ভার চাপিয়ে দেন। নিজের দোষ না দেখে সঙ্গীকেই দোষারোপ করেন৷ তাঁরা চায়, সঙ্গীর মধ্যে যেন সবসময় অপরাধ বোধ কাজ করে৷ আপনার মধ্যেও যদি এই মানসিকতা থেকে থাকে, তাহলে এখনই তা পাল্টান। সঙ্গীর উপর দোষ না চাপিয়ে নিজের দোষ স্বীকার করতে শিখুন৷ নাহলে সম্পর্কে ফাটল ধরাটা অস্বাভাবিক নয়৷
শারীরিক নির্যাতনকে ক্ষমা করা যায়? – আপনার সঙ্গী কী আপনার উপর যৌন নির্যাতন করেন? আপনাকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেন? ঝগড়া হলেই গায়ে হাত তোলেন? এর থেকে সম্পর্কে একটি ভীতির সৃষ্টি হয়৷ এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রতিবাদ করুন৷ এই সমস্যা মহিলাদের ক্ষেত্রেই বেশি৷ তবে কিছু ক্ষেত্রে পুরুষরাও এই সমস্যর সম্মুখীন হন৷ মারধর করার পর সঙ্গী ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করে দেবেন না৷ কারণ এই অপরাধ ক্ষমার যোগ্য নয়৷
অত্যচার সহ্য করবেন না- মানসিক বা শারীরিক অত্যাচার কখনওই মুখ বুজে সহ্য করবেন না৷ কারণ আপনার সঙ্গীর আপনার উপর অত্যাচার করার কোনও অধিকারই নেই। এবং সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে৷ শারীরিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে তো বটেই মানসিক নীপিড়নের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানান৷
বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন- সম্পর্কের দমবদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন অথচ বেরতে পারছেন না৷ এই পরিস্থিতিতে আপনি কোনও কাপল থেরাপিস্টের সাহায্য নিতেই পারেন। কীভাবে এই ধরনের টক্সিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা যায়, তিনি আপনাকে সেই পথ দেখাতে পারবেন। তবে একটা কথা মনে রাখবেন দিনের পর দিন সঙ্গীর অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করবেন না৷ তিনি যত বিখ্যাত মানুষই হন না কেন৷ রুখে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করুন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>