কফি হাউজের সেই মইদুল-সুজাতারা আজও বেঁচে আছেন? জানুন সত্যিটা

মান্না দে বলতে যে ক'টি গান প্রথমেই মনে পড়ে তার মধ্যে অন্যতম ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই…’। এই গানের দৌলতেই নিখিলেশ, মইদুল, রমা রায়দের মতো মানুষ বাঙালির কাছে, বাঙালির ড্রইং রুমে পৌঁছে গিয়েছে। মান্না দের এই ৬ জন বন্ধুদের গ্রুপের সঙ্গে বাঙালিরা নিজেদের বন্ধুদের গ্রুপের মিল পায়। কিন্তু নিখিলেশ, মইদুল, সুজাতার মতো মানুষ সত্যি কি আছেন? সম্প্রতি এই নিয়ে এই রহস্যের উদ্ঘাটন করেছেন গানের সুরকার সুপর্ণকান্তি ঘোষ।

9abf4e98c2be493ddebbef5b143300a3

 

কলকাতা: মান্না দে বলতে যে ক'টি গান প্রথমেই মনে পড়ে তার মধ্যে অন্যতম ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই…’। এই গানের দৌলতেই নিখিলেশ, মইদুল, রমা রায়দের মতো মানুষ বাঙালির কাছে, বাঙালির ড্রইং রুমে পৌঁছে গিয়েছে। মান্না দের এই ৬ জন বন্ধুদের গ্রুপের সঙ্গে বাঙালিরা নিজেদের বন্ধুদের গ্রুপের মিল পায়। কিন্তু নিখিলেশ, মইদুল, সুজাতার মতো মানুষ সত্যি কি আছেন? সম্প্রতি এই নিয়ে এই রহস্যের উদ্ঘাটন করেছেন গানের সুরকার সুপর্ণকান্তি ঘোষ।

'কফি হাউজের আড্ডাটা' গানটি কফি হাউজকে যেমন বিখ্যাত করেছিল তেমনি উস্কে দিয়েছিল বাঙালির নস্টালজিয়া। একসময় কবি সাহিত্যিকদের অনেকে নিজের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন কফির কাপে তুফান তুলে শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বিষ্ণু দের মতো কবিদের নিয়ে আলোচনার আসর বসে কফি হাউজে। বাঙালির সেই নস্টালজিয়াকেই নিজের গানের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, সুপর্ণকান্তি ঘোষ এবং অতি অবশ্যই মান্না দে। এখানেই প্রশ্ন ওঠে যে গানের চরিত্রগুলি কি গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের মস্তিষ্কপ্রসূত? সম্পূর্ণ কল্পনার মানুষ তাঁরা?

সম্প্রতি বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে সত্যি সত্যিই মইদুল এবং সুজাতার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সেদেশে। মইদুলের সম্পূর্ণ নাম নূর আহমেদ মইদুল। তিনি বাংলাদেশের একটি খুব পরিচিত মুখ। বাংলাদেশের অনেক সংবাদপত্রের হয়ে কাজও করেছেন তিনি। ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর তাঁর প্রয়াণ ঘটে। আর সুজাতা নাকি এখনও বেঁচে রয়েছেন। সুজাতা বর্তমানে আওয়ামি লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওয়ালিউর রহমান রেজার স্ত্রী। ১৯৭২ সালে তাঁদের লাভম্যারেজ হয়। আর যদি মইদুল আর সুজাতা সত্যিই থেকে থাকেন, তাহলে নিখিলেশ, ডি সুজা, রমা রায়, অমলদেরও খুঁজলে কি তাঁদের সন্ধান পাওয়া যাবে?

গানের সুরকার সুপর্ণকান্তি ঘোষ জানিয়েছেন এমনটা নয় একেবারেই। তাঁর মতে চরিত্রগুলো সম্পূর্ণই গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কল্পনাপ্রসূত। একটা মিথ্যে জিনিস ভাইরাল হয়েছে। এর সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল নেই। এমনকী গানের আইডিয়ার কথাও বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন একবার প্যারিসের কাছে মঁমার্তে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ঘোড়ার ক্ষুরের আকৃতির একটি ঢিপি রয়েছে। তার চারপাশে রয়েছে অনেক দোকান। গাইড তাঁদের বলেছিলেন এখানকার কফিশপে ত্রুফোঁ, এল সালভাদোর দালি, পাবলো নেরুদার মতো ব্যক্তিরা আড্ডা দিতেন। সেখান থেকেই গানের পরিকল্পনা। যা প্রচার করা হচ্ছে, সেই মইদুল ও সুজাতার সত্যতার কোনও ভিত্তি নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *