মুম্বই: করোনা পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করেছিলেন সোনু সুদ। ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। এর জন্য গোটা দেশ তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু শুধু প্রশংসা বাক্য দিয়ে সন্তুষ্ট থাকেনি তেলাঙ্গানার একটি গ্রাম। তাঁর সম্মানে তেলেঙ্গানার মানুষ তৈরি করেছে আস্ত একটা মন্দির। সেখানে স্থাপিত হয়েছে অভিনেতা সোনু সুদের মূর্তিও।
কেরালার সিদ্দিপিট জেলার দুব্বা টান্ডা গ্রামের স্থানীয়রা তৈরি করেছে এই মন্দির। তার উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সোনু সুদ করোনাকালীন মহামারী পরিস্থিতিতে প্রচুর লোককে সাহায্য করেছেন। তার কৃতজ্ঞতাস্বরূপই তাঁরা অভিনেতার জন্য মন্দির তৈরি করেছেন। গোটা বিষয় নিয়ে আপ্লুত সোনু সুদ নিজেও। তিনি জানিয়েছেন, এটা তাঁর কাছে অত্যন্ত আনন্দের মুহূর্ত। কিন্তু এতটা সম্মান তাঁর প্রাপ্য নয়। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই তিনি সবার পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসেই সোনু সুদের এই মহান কর্মকাণ্ডকে কুর্নিশ জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। তাঁকে রাষ্ট্রসংঘের শাখা সংগঠন ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের তরফে পুরস্কৃতও করা হয়েছে। এসডিজি(সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) স্পেশাল হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত হয়েছেন সোনু সুদ।
পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি তাঁর অনেক সম্পত্তি বন্ধক রেখেছেন অভিনেতা। শোনা গিয়েছে, জুহুর শিব সাগর এলাকার CGHS-এর গ্রাউন্ড ফ্লোরে ছ’টি ফ্লোর কিনেছিলেন সোনু সুদ। এছাড়া গ্রাউন্ড ফ্লোরে দু’টি দোকানেরও মালিকানা রয়েছে সোনুর হাতে। এসবই বন্ধক রয়েছেন তিনি। শুধু নিজের সম্পত্তি নয়। নিজের স্ত্রীর একাধিক সম্পত্তিও বন্ধক রেখেছেন তিনি। ইসকন মন্দিরের কাছে এবি নায়ার রোডে কিছু সম্পত্তি রয়েছে সোনু সুদ ও তাঁর স্ত্রী সোনালির। পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে সেগুলিও বন্ধক রাখেন সোনু। এসব বন্ধক রেখে অভিনেতা পান ১০ কোটি টাকা। সেটি তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কাজে লাগান। ঋণের এই টাকার জন্য ২৪ নভেম্বর ৫ লক্ষ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দেন সোনু। গোটা ঘটনাটাই গোপন রাখতে চেয়েছিলেন সোনু সুদ। কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের সময় এই খবর প্রকাশ্যে আসে।
Don’t deserve this sir.
Humbled🙏 https://t.co/tX5zEbBwbP— sonu sood (@SonuSood) December 21, 2020