‘খুব মিস করছি ভাই’, সুশান্তের সঙ্গে পুরনো ছবি শেয়ার করে আবেগঘন পোস্ট দিদি শ্বেতার

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি প্রয়াত অভিনেতার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। এর ক্যাপশনে তিনি ছবির পিছনের গল্পও বলেছেন। বোঝাই যাচ্ছে সুশান্তকে হারানোর ক্ষত এখনও তাঁর পরিবারের মনে টাটকা।

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি প্রয়াত অভিনেতার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। এর ক্যাপশনে তিনি ছবির পিছনের গল্পও বলেছেন। বোঝাই যাচ্ছে সুশান্তকে হারানোর ক্ষত এখনও তাঁর পরিবারের মনে টাটকা।

ছবির ক্যাপশনে শ্বেতা লিখেছেন, “এটি ২০১৬ সালের অক্টোবরে তোল। ভাই আমাকে আমেরিকা থেকে আসতে বলেছিল যাতে আমরা সবাই থিয়েটারে একসঙ্গে 'ধোনি' ছবিটি দেখতে যেতে পারি। আমি ওর জন্য খুব গর্বিত ছিলাম। ওই কারণে আমি উত্তেজিত হয়ে প্রথম বিমানেই ভারতে চলে আসি। ভাইয়ের সাফল্য আমরা একসঙ্গে উদযাপন করতে পেরেছিলাম। আমি তোমাকে খুব মিস করছি। ঈশ্বর, আমাকে এই ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দিন।”

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় এখন তিন তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিহারের রাজীবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। তাঁর একাধিক অভিযোগের মধ্যে অন্যতম ছিল রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার জট কাটাতে তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। তদন্তের সময়ই উঠে আসে রিয়া ও সুশান্তের সঙ্গে ড্রাগ চক্রের যোগের কথা। মামলায় ঢোকে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এই সংস্থার হাতে বুধবার মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার হয় আবদুল বাসিত ও জাইদ ভিলাত্রা। রিয়া চক্রবর্তী অ্যাসোসিয়েট স্যামুয়েল মিরান্ডা তাঁকে ও তাঁর ভাই সৌভিককে ড্রাগ এনে দিতেন। স্যামুয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আবদুল বাসিতের। এর পিছনে একাধিক তথ্যপ্রমাণও পেয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ধৃত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন আবার বলিউডের সঙ্গে মাদকচক্রের যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।

আরও পড়ুন: রিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারে সিবিআই! বাড়ছে আশঙ্কা

শুক্রবার অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ড্রাগ ব়্যাকেটের অনুসন্ধানের সময় স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ভোর ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ তল্লাশি শুরু হয়। এরপর স্যামুয়েলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য NCB-র অফিসেও নিয়ে যাওয়া হয়। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, Narcotic Drugs and Psychotropic Substances Act, 1985-এর অধীনে তদন্ত চলছে। সূত্রের খবর, ২০ বছর বয়সী ভিলাত্রা সৌভিক চক্রবর্তী এবং স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গাঁজা সরবরাহ করত বলে অভিযোগ রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৌভিককেও হেফাজতে নিয়েছে NCB।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 8 =