সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় ৭’ম সুশান্ত কীভাবে এলেন অভিনয়ে?

সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় ৭’ম সুশান্ত কীভাবে এলেন অভিনয়ে?

মুম্বই: অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত৷ মাত্র ৩৪ বছর বয়সে জীবন যুদ্ধে হার মানলেন এই বলিউট অভিনেতা৷ অভিনয়ে বলিউডকে দিয়েছেন একের পর এত উপহার৷ গড়েছে মাইলফলক৷ কিন্তু, জানেন কি, পড়াশোনায় কেমন ছিলেন এই তরুণ অভিনেতা? অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন পূরণে ঠিক কী করছিলেন সুশান্ত৷

সুশান্ত সিং রাজপুত৷ ছিলেন মেধাবী ছাত্র৷ স্কুল জীলনে তিনি ছিলেন প্রধম মেধার পড়ুয়া৷ কলেজ জীবনেও ছিল তার প্রভাব৷ পরিবার চেয়েছিল, সুশান্ত হবে ইঞ্জিনিয়ারিং৷ পরিবারের ইচ্ছা পূরণে চলছিল তার প্রস্তুতি৷ বাড়ির মন রাখতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রস্তুতি নিলেও দু’চোখে ছিল অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন৷ অভিনয় করার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও ২০০৩ সালে দিল্লি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেন তিনি৷ সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সপ্তম স্থান দখল করে নিয়েছিলেন সুশান্ত৷ পরে দিল্লি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং বর্তমানে দিল্লি টেকনোলজিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন৷ ওই বছর আইএসএম ধনবাদ-সহ মোট ১১টি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা সফল হন৷

দিল্লি কলেজে ভর্তি হলেও সুশান্তের দু’চোখে ছিল অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন৷ প্রথম দু’বছর ঠিকঠাক পঠনপাঠন চালিয়ে গেলেও তৃতীয় বর্ষে বেকে বসে সুশান্তের মন৷ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঠ শেষ হওয়া আগেই কলেজ পালিয়ে চলে যান স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে৷ দেন অভিনয়ের অডিশন৷ সেই শুরু৷ কলেজ থেকে পালানোর পর আর ফেরনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দুনিয়ায়৷ অভিনয় শিখতে যোগ দেন থিয়েটারে৷ শেখেন আধুনিক নাচ৷ পড়াশোনার ছেড়ে অভিনয়ে মনোসংযোগ করেন৷ পরে টিভির পর্দায় অভিনয় করে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন৷ ধারাবাহিক থেকে সিনেমার পর্দায় পা রাখেন তিনি৷

২০০৮ সালে ‘কিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন৷ ২০০৯ সাকে ‘পবিত্র রিস্তা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান৷ ২০১০ সালে ড্যান্স রিয়েলিটি ‘শো ঝলক দিখলা জা ২’ পর্বে ‘মস্ত কলন্দর বয়েজ’ টিমে অংশগ্রহণ করেন৷ ২০১০ সালে তিনি ‘ঝলক দিখলা যা ৪’-এ অংশগ্রহণ করেন৷ সেখানে মোস্ট কনসিস্টেন্ট পারফর্মার পুরস্কার পান৷ ২০১১ সালে ‘পবিত্র রিস্তা’ ধারাবাহিকের কাজ ছেড়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন৷ ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়া ‘কই পো চে!’ এটাই ছিল রাজপুতের প্রথম চলচ্চিত্র৷ প্রথম ছবিটি প্রশংসিত হয়৷ বাণিজ্যিকভাবেও সফল হয় ওই ছবি৷  এরপর ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’ ছবিতে পরিণীতি চোপড়া ও বাণী কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেন৷ বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় ওই ছবি৷ রাজকুমার হিরানির ‘পিকে’ চলচ্চিত্রে একটি ছোটো চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি৷ দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ডিটেকটিভ ছবি ‘ব্যোমকেশ বক্সি’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন৷ মহেন্দ্র সিং ধোনি বায়ো ছবিতে  ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেতার জন্য পুরস্কার পান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *