মুম্বই: চাঞ্চল্যকর তথ্য উন্মোচিত হল সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায়। জানা গিয়েছে সম্প্রতি কিছু আর্থিক লগ্নি করেছিলেন সুশান্ত। আর তার নমিনি তিনি করেছিলেন দিদি প্রিয়াঙ্কাকে। বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে নয়। এই তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে এক ব্যাংক কর্মীর সঙ্গে সুশান্তের চ্যাট মেসেজের উল্লেখ করা হয়েছে। সুশান্তের সঙ্গে যে তাঁর পরিবারের বিশেষত প্রিয়াঙ্কার সম্পর্কে অবনতি হয়নি ওই ব্যাংক কর্মীর মেসেজ থেকে সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করা যায়। বেসরকারি ব্যাংকের ওই কর্মীর সঙ্গে সুশান্তের ব্লগ নিয়ে কিছু কথাবার্তা হচ্ছিল। সেখানে প্রিয়াঙ্কার নাম উল্লেখ করা হয়েছে নিমিনি হিসেবে। কিছুদিন আগে আর একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কার ফোন থেকে দিল্লির কোনও এক চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের ছবি পাঠানো হয়েছে। সুশান্তকে প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসক অ্য়ান্টিডিপ্রেসেন্ট ও অ্যান্টিঅ্যাংজাইটির তিনটি ওষুধের কথা লিখেছিলেন। এছাড়া এক সপ্তাহ পর্যন্ত সুশান্তকে প্রিয়াঙ্কা লিব্রিয়াম ক্যাপসুল খাওয়ার কথা বলেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি সুশান্তকে লোনাজেপ ট্যাবলেট সঙ্গে রাখতে বলেছিলেন। প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে পরপর এমন দুটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হয়ে যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মনে করা হচ্ছে সুশান্তের মামলা এখান থেকে নতুন মোড় নিতে পারে।
আরও পড়ুন: করোনার থাবা 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'র সেটে, আক্রান্ত ২
কিছুদিন আগে সুশান্তের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে আরও বলেছেন, “তাঁরা ওষুধের প্রেসক্রিপশন আদান-প্রদান করছিলেন। অথচ আদালত ও ইডির কাছে তাঁরা মিথ্যা বয়ান দেন। এই ধরনের আলোচনা অবৈধ। আর যদি কোনও অনলাইন পরামর্শ ঘটেও থাকে, তবে চিকিৎসক তখনই কোনও রোগীকে প্রেসক্রিপশন দেন যাঁর ইতিহাস তিনি আগে থেকেই জানেন।” রিয়া চক্রবর্তী এরপরই স্থির করেন সুশান্তের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা সহ সব রকম সম্ভাব্য আইনানুগ ব্যবস্থা তিনি গ্রহণ করবেন। প্রসঙ্গত গত দুদিনে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হয়েছে। একটি ছিল সুশান্তের ম্যানেজার শ্রুতি মোদী এবং অভিনেতার বড় বোন নীতুর মধ্যে। যেখানে নীতু তাঁকে প্রেসক্রিপশন পাঠাতে বলছেন। আর একটি ছিল সুশান্ত এবং তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কার মধ্যে। যেখানে প্রিয়াঙ্কা দিল্লির একজন ডাক্তারের কাছ থেকে নেওয়া একটি প্রেসক্রিপশন সুশান্তকে পাঠিয়েছেন। এসব স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে অভিনেতা তাঁর অবসাদের কারণে ওষুধ খেতেন।