করোনা শনাক্তকরণ নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছিলেন সুশান্ত, করছিলেন অ্যাপ তৈরির পরিকল্পনা

মুম্বই: অভিনয় ছিল তাঁর পেশা। কিন্তু তাঁর নেশা ছিল বিজ্ঞান। তাই বাড়ির বারান্দায় তিনি বসিয়েছিলেন টেলিস্কোপ। কথা হচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়ে। ওই টেলিস্কোপের মাধ্যমে আকাশের দিকে নজর রাখতেন সুশান্ত। দেখতেন বিভিন্ন নক্ষত্র, গ্রহ। তবে সুশান্তের যাত্রা এখানেই থেমে ছিল না। সম্প্রতি করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছিলেন তিনি।

মুম্বই: অভিনয় ছিল তাঁর পেশা। কিন্তু তাঁর নেশা ছিল বিজ্ঞান। তাই বাড়ির বারান্দায় তিনি বসিয়েছিলেন টেলিস্কোপ। কথা হচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়ে। ওই টেলিস্কোপের মাধ্যমে আকাশের দিকে নজর রাখতেন সুশান্ত। দেখতেন বিভিন্ন নক্ষত্র, গ্রহ। তবে সুশান্তের যাত্রা এখানেই থেমে ছিল না। সম্প্রতি করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছিলেন তিনি।

সুশান্ত সিং রাজপুত সম্পর্কে আর এক নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের পদ্ধতি নিয়ে নাকি কাজ করছিলেন সুশান্ত। 'এম এস ধোনি” ছবিতে তাঁর সহ অভিনেত্রী নীত মাহিন্দ্রন একথা জানিয়েছেন। ছবিতে সুশান্তের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, সুশান্ত এমন একজন অভিনেতা যিনি জীবনে অনেক কিছুই করেছেন। AIEE-তে ভালো ফল করার পরও তিনি দিল্লির সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়েননি। বরং অভিনয়ের টানে তিনি বলিউডে এসেছিলেন। মাথায় কোনও গডফাদারের হাত ছাড়া একাই নিজের চেষ্টায় এতদুর পৌঁছেছিলেন। করোনা নিয়েও কাজ করেছিলেন সুশান্ত। তিনি এমন একটি অ্যাপ বানানোর চেষ্টা করেছিলেন যার সাহায্যে দেহে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা সহজেই ধরে ফেলা যাবে। সুশান্তের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই অ্যাপের সাহায্যে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসই বলে দেবে শরীরে করোনা ভাইরাস প্রভাব বিস্তার করেছে কিনা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই কাজ শেষ করতে পারেননি সুশান্ত। জানালেন নীত মাহিন্দ্রন।

সম্প্রতি সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত হাতে নিয়েছে সিবিআই। রবিবার সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল মুম্বইয়ের হাসপাতালে যায়। এখানে অভিনেতার ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। হাসপাতালে ডিন ও যে কজন চিকিৎসক অভিনেতার ময়নাতদন্ত করেছিলেন, তাঁদের সকলের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এছাড়া সুশান্তের তুতো ভাই এবং বিজেপি নেতা বাবলু অভিযোগ তুলেছেন সুশান্তের মৃত্যুতে কোনও না কোনও ডাক্তারের যোগসাজশ রয়েছে। নাহলে এভাবে নিখুঁত পরিকল্পনা করা সম্ভব নয়। তিনি এও অভিযোগ করেছেন সুশান্তের দুই কাছের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠান এবং সন্দীপও এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। 

এছাড়া জিম ইনস্ট্রাক্টর সুনীল স্পষ্ট জানিয়েছেন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং রিয়ার 'সুগার ড্যাডি' মহেশ ভাট একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ রিয়ার বাবা সুশান্তকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়াতেন। তিনি এও খোলসা করেছেন যে ৮ জুন রিয়া সুশান্তের বাড়ি থেকে চলে যান। তবে তার পরেও কেউ রোজ সুশান্তকে সেই ওষুধ খাওয়াতেন। তখন একমাত্র সুশান্তের রাঁধুনী নীরজ, সুশান্তের বন্ধুর সিদ্ধার্থ পিঠানি ও পরিচারক দীপেশ সাওয়ন্ত বাড়িতে থাকতেন। তাহলে কে সুশান্তকে নিয়মিত এই ওষুধ দিতেন? এ নিয়ে একের পর এক উঠছে প্রশ্ন। সুনীল জানিয়েছেন সুশান্ত জিম করতেন এবং তার পাশাপাশি মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খেতেন। তাঁর মতে সুশান্তের মৃত্যু একেবারেই স্বাভাবিক নয়। এ বিষয়ে তিনি একপ্রকার নিশ্চিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 1 =