মুম্বই: কিছুদিন আগে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছিলেন সুশান্তের থাইল্যান্ড ট্রিপ ছিল শুধু ছেলেদের জন্য। কিন্তু সুশান্তের বন্ধু ও ওই ট্রিপেরই সদস্য সাবির আহমেদ জানিয়েছেন, রিয়া যা বলছেন তা সত্যি নয়। সারা আলি খানের জন্যই ওই ট্রিপের প্ল্যান করেছিলেন সুশান্ত। সারা একথা আর কাউকে জানতে দিতে চাননি। গোপনীয় রাখতে চেয়েছিলেন। আর সেই কারণেই চার্টার্ড বিমান ভাড়া করেছিলেন সুশান্ত। খরচের দিকে তাকাননি।
সাবির আহমেদ জানিয়েছেন ৭ জন ছিলেন সেই সফরে। সুশান্ত সিং রাজপুত নিজে, সারা আলি খান, সিদ্ধার্থ গুপ্তা, কুশল জাভেরি, আব্বাস এবং সুশান্তের দেহরক্ষী মুস্তাক ছিলেন ট্রিপে। এছাড়া সবির নিজে তো ছিলেনই। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রাইভেট জেটে ব্যাংকক গিয়েছিলেন। তিনি এও জানিয়েছেন প্রথম দিনে সবাই মিলে সি-বিচে বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে সুশান্তর আর সারা হোটেলের বাইরে বেরোননি। সবাই ঘুরতে বের হলেও হোটেলের ঘরেই এই সময়টা কাটান তাঁরা দুজনে। প্রসঙ্গত এই নিয়ে এর আগেও মুখ খুলেছিলেন রিয়া। তার বিরুদ্ধে যখন আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠেছিল তখনই রিয়া জানিয়েছিলেন তিনি সুশান্তের জীবনে আসার অনেক আগে সুশান্ত ৬ জন ব্যক্তির সঙ্গে তাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তখন ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন সুশান্ত। সবাইকে প্রাইভেট জেটে নিয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত মেক আপ আর্টিস্ট, কোয়ারেন্টাইনে সোহিনী
এদিকে সমস্ত তদন্তকারী সংস্থা এবং সুপ্রিম কোর্টের সামনে মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠল সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে মামলা দায়ের করতে চলেছেন রিয়া চক্রবর্তী। তাঁর আইনজীবী সতীশ মানশিন্দে বলেছেন, “অভিনেতার দুই বোনের প্রেসক্রিপশন এবং চ্যাটের বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানান। তাঁর মানে এটাই প্রমাণিত হয় যে পরিবার অভিনেতার মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি জানতেন।” মানেশিন্দে আরও বলেছেন, “তাঁরা ওষুধের প্রেসক্রিপশন আদান-প্রদান করছিলেন। অথচ আদালত ও ইডির কাছে তাঁরা মিথ্যা বয়ান দেন। এই ধরনের আলোচনা অবৈধ। আর যদি কোনও অনলাইন পরামর্শ ঘটেও থাকে, তবে চিকিৎসক তখনই কোনও রোগীকে প্রেসক্রিপশন দেন যাঁর ইতিহাস তিনি আগে থেকেই জানেন।” রিয়া চক্রবর্তী এরপরই স্থির করেন সুশান্তের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা সহ সব রকম সম্ভাব্য আইনানুগ ব্যবস্থা তিনি গ্রহণ করবেন। প্রসঙ্গত গত দুদিনে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হয়েছে। একটি ছিল সুশান্তের ম্যানেজার শ্রুতি মোদী এবং অভিনেতার বড় বোন নীতুর মধ্যে। যেখানে নীতু তাঁকে প্রেসক্রিপশন পাঠাতে বলছেন। আর একটি ছিল সুশান্ত এবং তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কার মধ্যে। যেখানে প্রিয়াঙ্কা দিল্লির একজন ডাক্তারের কাছ থেকে নেওয়া একটি প্রেসক্রিপশন সুশান্তকে পাঠিয়েছেন। এসব স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে অভিনেতা তাঁর অবসাদের কারণে ওষুধ খেতেন।