মুম্বই: ১৪ জুন আত্মহত্যা করেছিলেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। তারপর প্রায় ২ মাস কেটে গিয়েছে। আজ ১৪ আগস্ট। আজকের দিনে অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন তাঁর ভাগ্নি মল্লিকা। পাশাপাশি অভিনেতার জামাইবাবু বিশাল সিং কীর্তি। সেদিনের রাতের ঘটনা মেলে ধরলেন তিনি।
সুশান সিং রাজপুতের দিদির শ্বেতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বিশাল সিং কার্তির। বর্তমানে তিনি দুই সন্তানের বাবা। কাজের সূত্রে আমেরিকাতেই থাকেন তিনি। ১৪ জুন যখন সুশান্ত আত্মহত্যা করেন তখন আমেরিকায় মধ্যরাত। হঠাৎই তাঁর ফোন বেজে ওঠে। একবার দুবার নয়, বারবার। ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থাতেই উঠে ফোন ধরেন বিশাল। তখনই শোনেন দুঃসংবাদ। আঁতকে ওঠেন তিনি। সবার একই প্রশ্ন, 'সুশান্তের খবরটা কি সত্যি?', 'সত্যি কি আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা?' সময় অপচয় না করে সঙ্গে সঙ্গে টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখেন বিশাল। দেখতে পারেন সত্যিই সুশান্তের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর শ্যালকের ঝুলন্ত দেহ।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন বান্ধবীর ফ্ল্যাটের EMI দিতেন সুশান্ত! ঘনাচ্ছে নতুন রহস্য
বিশালের পাশাপাশি তখন শ্বেতা ফোনও বাজতে শুরু করে। বিশাল বলেছেন, 'আমি বুঝতে পারছিলাম না শ্বেতাকে কীভাবে খবরটা দেব? আমার কাছে সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল সেটা। সেই দিনের কথা আমি আজও ভুলতে পারি না।' বিশাল আরও বলেন, 'খবরটা শোনার পর স্ত্রী শ্বেতার প্রতিক্রিয়া আজও তাঁর চোখে ভাসে। একের পর এক ফোন পেতে থাকেন তিনিও। শ্বেতার কান্নায় গলা ভিজে যাচ্ছিল। প্রত্যেকের সঙ্গে কথোপকথন হয় শ্বেতার। সুশান্তের আত্মহত্যা নিমেষে ভেঙে দিয়েছিল গোটা পরিবারকে। একটা রাত সব তছনছ করে দিয়েছিল। এর মধ্যে আবার চলছিল করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি। ফলে শ্বেতাকে ভারতে পাঠাতে পারছিলেন না বিশাল। তাঁর সন্তানরাও মামার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিল বলে জানান তিনি। বিশাল আরও বলেন গত ২ মাস ধরে তিনি দুটি চোখের পাতা এক করতে পারেননি। ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। তিনি জানান, লড়াই কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। কিন্তু তাতে তিনি পরোয়া করেন না। কারণ তিনি এবং পরিবারের প্রত্যেকেই চায় সত্যিটা সামনে আসুক। সবাই চায় নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হোক। সেদিন এমনকী ঘটেছিল তা সবার সামনে আসুক।