Aajbikel

''হ্যাপি বার্থ ডে মা...'', মহানায়িকার জন্মদিনে আবেগঘন ছবি পোস্ট রাইমার

 | 
সুচিত্রা

কলকাতা:  ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল৷ আজ থেকে ৯১ বছর আগে বাংলাদেশের পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন৷ তবে সেই সময় তিনি ছিলেন রমা দাশগুপ্ত৷ তখন কেউ ভাবতেও পারেননি পাবনার সেই রমাই একদিন হয়ে উঠবেন কলকাতার কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেন৷ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে যাঁর নাম লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে৷ 

আরও পড়ুন- পর জন্মে কী হতে চেয়েছিলেন অভিষেক? আবেগঘন স্মৃতিতে জানালেন স্ত্রী সংযুক্তা


দিদিমার জন্মদিনে স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন রাইমা সেন৷ মহানায়িকারে শুভেচ্ছে জানিয়ে লেখেন, ‘‘হ্যাপি বার্থ ডে মা”। টলিউডে রাইমার অভিষেক হয়েছিল, ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘চোখের বালি’ ছবি দিয়ে৷ তখন থেকেই মহানায়িকার সঙ্গে তাঁর সৌন্দর্যের তুলনা টানা শুরু৷ বারবার রাইমার মধ্যে বাঙালিও যেন খুঁজে বেড়িয়েছে মহানায়িকাকে৷ এ প্রসঙ্গে রাইমা একবার বলেছিলেন,  “চোখের বালি আমার কেরিয়ারের মোড় ঘুড়িয়ে দিয়েছিল৷ সেই ছবির পর সকলেই আমার সঙ্গে দিদিমার তুলনা টানতে শুরু করেন৷ যা বাড়তি চাপ ছিল৷ কারণ এতে মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে যায়। এই তুলনাটা প্রথম ছবিতে হলেও এখন আর সেভাবে তুলনা টানা হয় না।” 


কেমন ছিলেন মানুষ সুচিত্রা? বরাবরই জেদি ও  দৃঢ়চেতা ছিলেন মহানায়িকা৷  তিনি তখন কেরিয়ারে মধ্যগগণে৷ আচমকা সব কিছুর থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিলেন৷ সালটা ১৯৭৮। এর পর থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন অন্তরালে। অভিনয় জগত থেকে দূরে সরার পরই রামকৃষ্ণ আশ্রমে দীক্ষিত হন৷ শেষবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল একটি ভোট কেন্দ্রে৷ তারপর থেকে আর কখনও জনসকমক্ষে আসেননি৷ এদিন দিদিমার জন্মদিনে মহানায়িকার বেশ কিছু অদেখা ছবি শেয়ার করেন রাইমা৷ যা দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা৷ 

রাইমা


আজও রিনা ব্রাউনের জায়গা নিতে পারেননি বাংলার কোনও নায়িকা৷ হয়তো কোনও দিন পারবেও না৷ সেই হাসি, সেই চাউনি, দৃঢ় অভিনয়, বাঙালির হৃদয় জুড়ে৷ সেই ক্যারিশ্মাকে ছুতে পারেনি কেউ৷ ২০০৫ সালে চলচ্চিত্র জগতের শ্রেষ্ঠ সম্মান দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাঁকে৷ কিন্তু সেই পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মহানায়িকা৷ শুধুমাত্র জনসমক্ষে আসতে হবে বলে৷ 

Around The Web

Trending News

You May like