কলকাতা: এক সময় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন তিনি৷ অনীক দত্তের রাজনৈতিক ব্যঙ্গধর্মী ছবি ‘ভবিষ্যতের ভূত’ দেখানোর জন্য হল না পাওয়া নিয়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন৷ চলচ্চিত্র উৎসবে ছবির পোস্টারের বদলে কেন মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টারে ছেয়ে যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দৃপ্ত কণ্ঠে৷ আজ সেই সায়নী ঘোষ হুগলীর ডানলপে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে যোগ দিলেন তৃণমূলে৷ বরাবরই বামপন্থী বলে পরিচিত ছিলেন টলিউডের এই ‘ঠোঁটকাটা’ অভিনেত্রী৷ তিনি ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাতেই ঝড় উঠল নেট পাড়ায়৷
আরও পড়ুন- ‘এখানে আসব বলেই চুলে লাল রং করিয়েছি’, তবে কি বাম শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন শ্রীলেখা?
সায়নীর এই সিদ্ধান্তের সামালোচনায় সরব হয়েছেন তাঁর সহকর্মীরাও৷ তাঁরা বলছেন, ‘‘কারও মধ্যে রাজনৈতির উচ্চাশা থাকতেই পারে৷ কিন্তু তা বলে তৃণমূল?’’ কেউ আবার বলছেন, ‘‘সায়নী তুইও?’’ সায়নী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ফেসবুকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে দীক্ষিত হয়ে সায়নী ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাতেই চটেন শ্রীলেখা। মনে-প্রাণে আদ্যন্ত বামপন্থী শ্রীলেখা ফেসবুকে লেখেন, ‘‘তোর থেকে এটা আশা করিনি। তুইও বিক্রি হয়ে গেলি। খেলতে নেমে গেলি? খুবই কষ্ট লাগছে৷”
প্রসঙ্গত, শ্রীলেখা মিত্র এবং সায়নী ঘোষ বরাবরই বাম সমর্থক বলে পরিচিত ছিলেন৷ অবশ্য সায়নীর কাছে বাম এখন অতীত৷ সম্প্রতি ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের বিরোধিতা করে বিজেপি’র বিষ নজরে পড়েছিলেন সায়নী৷ তাঁর একটি পুরনো টুইট তুলে এনে হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত৷ সেই সময় সায়নীর পাশে দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ক্ষমতা থাকলে কেউ সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাক৷ এর পরেই বদলাতে থাকে রাজনীতিক সমীকরণ৷ বুধবার সাহাগঞ্জে ডানলপের জনসভায় সব জল্পনায় ইতি পড়ে৷
আরও পড়ুন- সাত-সকালেই রাস্তায় ‘মুন্নি’! ছড়িয়ে দিলেন বসন্তের উত্তাপ! দেখুন ছবি
এদিন সায়নীর পাশাপাশি তৃণমূলে যোগ দেন জুন মালিয়া, রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, মানালি দে, সুদেষ্ণা রায়, ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও ফুটবলার সৌমিক দে৷ ওই মঞ্চেই জুন-কাঞ্চনের গলায় শোনা যায় ‘খেলা হবে’ স্লোগান৷