কলকাতা: আরও আশঙ্কাজনক হচ্ছে বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছেন না তিনি৷ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে৷ চিকিত্সকদের একটি বিশেষ দল পর্যবেক্ষণে রেখেছে বছর পঁচাশির এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে৷ চিকিত্সক অরিন্দম করের নেতৃত্বে ওই টিম দেখভাল করছে৷ চিকিত্সক অরিন্দম কর জানিয়েছেন, তাঁর শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রতঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করছে৷ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে চিকিত্সক জানিয়েছেন, ‘‘গত ৭২ ঘণ্টায় তাঁর আচ্ছন্ন অবস্থা বেড়েছে। বিষয়টা কোন পথে চলেছে তা নিশ্চিত নয়। আমরা টেস্টের রিপোর্টগুলি পেয়েছি। আমাদের অনুমান, কোভিডের ফলে এনসেফেলোপ্যাথির জেরেই এমনটা হচ্ছে।’’
তিনি আরও জানিয়েছেন, রিপোর্টে স্পষ্ট তাঁর কোভিড এনসেফালোপ্যাথি ক্রমশ বাড়ছে। স্টেরয়েড প্রয়োগ ও অন্যান্য প্রচেষ্টাতেও এই মুহূর্তে চিকিৎসায় কোনও সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ফুসফুস ও রক্তচাপ ঠিক থাকলেও প্লেটলেট কমে গিয়েছে। কেন এমনটা হল সেটাই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷ এটা যথেষ্ট ভয়ের কারণ৷ রক্তে বেড়েছে ইউরিয়া ও সোডিয়ামের মাত্রা। একইসঙ্গে চিকিত্সক জানিয়েছে যে তারা তাদের সেরাটা দিয়ে কাজ করছেন৷ তবে পাশাপাশি চিকিত্সক এও জানিয়েছেন যে, এই বয়সে যে রোগগুলিতে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় প্রচুর চেষ্টা করেও কোনও ভালো ফল হয় না৷ প্লেটলেটের সংখ্যা ঠিক কী কারণে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা।
অষ্টমীর দিন বেশ কিছুটা সুস্থ হয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়৷ তবে আজ ফের অবনতি হয়েছে তার শারীরিক অবস্থার৷ ৬ অক্টোবর থেকে বেলভিউয়ে ভরতি অশীতিপর কিংবদন্তি অভিনেতা। ৯ অক্টোবর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইটিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৪ অক্টোবর তাঁর করোনার টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরে তাঁকে নন-কোভিড আইটিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়।