কলকাতা: বাড়ছে উদ্বেগ। ক্রমশই অবনতি হচ্ছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার। রবিবারও তাঁর আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে। এই রক্তক্ষরণ থামানোর জন্য চিকিৎসকরা সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাম করান। এছাড়া অভিনেতার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কমে গিয়েছিল। তাই তাঁকে প্রায় চার থেকে পাঁচ ইউনিট রক্ত দিতে হয়। এছাড়া আচ্ছন্ন ভাবও রয়েছে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার।
প্রায় একমাস হতে চলল দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু এখনও আশার কথা শোনাতে পারেননি চিকিৎসকরা। মাঝে মাঝে চিকিৎসায় সাড়া দিলেও শারীরিক অবস্থার উল্লেখোগ্য কোনও উন্নতি হচ্ছে না। আর সেটাই ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের। রবিবার চিকিৎসক অরিন্দম কর জানান বিকেল থেকেই আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হচ্ছিল অভিনেতার। রাতের দিকে তা বাড়ে। রক্তক্ষরণের জায়গা বুঝতে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হয়। অ্যাঞ্জিওগ্রামের জন্য ব্যবহৃত ডাই শরীর থেকে বের করার জন্য তৃতীয় দফার ডায়ালিসিও দেওয়া হয় তাঁকে। ডায়ালিসিসের পর তাঁর শরীরের বেশ কিছু প্যারামিটার স্বাভাবিক হলেও সংকট কাটছে না। শরীর সুস্থ রাখতে অভিনেতাকে প্রায় চার থেকে পাঁচ ইউনিট রক্ত দিতে হয়।
তবে রক্তে প্লেটলেট এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। ফুসফুস সহ শরীরের অন্যান্য সংক্রমণ কমেছে। ক্রিয়েটিনিন, ইউরিয়ার মাত্রাও স্বাভাবিক। কিডনিও ঠিকঠাক কাজ করছে। কিন্তু কোভিডের ধাক্কায় তৈরি হওয়া স্নায়ুর সমস্যা কাটতে চাইছে না। এর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাঁর আচ্ছন্ন ভাব কাটছে না। অক্সিজেনও আগের মতোই দিতে হচ্ছে। সার্বিকভাবে আশার আলো খুব একটা শোনাতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তাঁর নিউরোলজিক্যাল সমস্যার কারণেই শরীর সাড়া দিচ্ছে না। কো-মর্বিডিটি নিয়ে তাই অভিনেতা কতটা লড়তে পারবেন, তা নিয়ে অনুরাগীমহলে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।