কলকাতা: কোভিড-১৯ এর কারণে কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও করোনা মুক্ত হননি তিনি। উলটে বাড়ছে জটিলতা। তাই তাঁকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মেডিক্যাল বোর্ড ও অভিনেতার পরিবারের সদস্যরা। তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রেখে চলছে চিকিৎসা।
মঙ্গলবার করোনা নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিল তিনি। অভিনেতার মেয়ে গতকাল সকালে নিশ্চিত করেছিলেন যে অভিনেতা কোভিড এনসেফালোপ্যাথিতে ভুগছেন। স্বাস্থ্যের কারণে তিনি দিশেহারা এবং অস্থির হয়ে পড়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এনসেফেলোপ্যাথি অভিনেতার মধ্যে তীব্র বিভ্রান্তিকর অবস্থা তৈরি করেছে। তাঁর প্লাজমা থেরাপি প্রক্রিয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শীর্ষ সরকারী চিকিৎসককে নিয়োগ করেছেন। রাজ্যের প্রধান স্নাতকোত্তর হাসপাতাল এসএসকেএম বিভাগের বিভাগীয় বিভাগের শল্যচিকিৎসক ডাঃ মাখনলাল শাহ এবং ডাঃ যোগিরাজ রায় প্লাজমা থেরাপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “হাসপাতালে এই অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পাঠানোর জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরাই চিকিৎসার কোনদিকে যাবে তার সিদ্ধান্ত নেবেন।”
দিন দুই আগে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা পৌলমী চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ১২ জন ডাক্তারদের একটি দল তাঁর বাবার চিকিৎসার দিকটি দেখছেন। অভিনেতার রক্তচাপ স্বাভাবিক এবং তাঁর অক্সিজেনের কোনও প্রয়োজন হয়নি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানিয়ে পৌলমী বলেন, তাঁর বাবার স্বাস্থ্য সম্পর্কে যথাযথ যত্ন নেওয়া হচ্ছে।
সৌমিত্র চ্যাটার্জী গত বছর আগস্টে শ্বাসকষ্টের সংক্রমণ এবং সোডিয়াম-পটাসিয়াম ভারসাম্যহীনতা সহ অন্যান্য বয়সজনিত সমস্যার পরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ছিলেন। তিনি ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। এই অভিনেতার সোমবার ২ অক্টোবর করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট আসে। করোনা ধরা পড়ার আগে তিনি একটি ডকুমেন্টারি শ্যুটিং করছিলেন এবং অক্টোবরে একটি স্টুডিওতে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।