রিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ানের জন্য চাপ দিচ্ছে সুশান্তের পরিবার! অভিযোগ বন্ধুর

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য থেকে পর্দা এখনও ওঠেনি। ইতিমধ্যেই রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। বেশিরভাগ মানুষই সুশান্তের আত্মহত্যার জন্য রিয়াকেই দায়ী করেছেন। এই পরিস্তিতিতে সম্পূর্ণ উলটো মত শোনা গেল সুশান্তের বন্ধু তথা ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানির বয়ানে।

 

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য থেকে পর্দা এখনও ওঠেনি। ইতিমধ্যেই রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। বেশিরভাগ মানুষই সুশান্তের আত্মহত্যার জন্য রিয়াকেই দায়ী করেছেন। এই পরিস্তিতিতে সম্পূর্ণ উলটো মত শোনা গেল সুশান্তের বন্ধু তথা ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানির বয়ানে।

সিদ্ধার্থ দাবি করেছেন রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এমন কিছু বলতে বলা হয়েছে যা তিনি তিনি নিজেই সম্পূর্ণ নিশ্চিত নন। এই নিয়ে গত ২৮ জুলাই বান্দ্রা থানায় একটি ইমেল পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, রিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ান দেওয়ার জন্য তাঁকে জোর করা হচ্ছে। সুশান্তের পরিবারের সদস্যরাই নাকি এমন করেছেন বলে অভিযোগ সিদ্ধার্থের। তিনি জানিয়েছেন, ২২ জুলাই হোয়াটসঅ্যাপ ফোন করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সুশান্তের শ্যালক ও পি সিং। পেশায় তিনি সিনিয়র আইপিএস অফিসার। হোয়াটসঅ্যাপ কলটি কনফারেন্স কল ছিল। ফোনে সুশান্তের দিদি ও তৃতীয় এক ব্যক্তিও ছিলেন। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সুশান্তের সঙ্গে থাকার সময় রিয়া কত কী টাকা খরচ করতেন।

তিনি আরও জানান, ২৭ জুলাই ফের ও পি সিংয়ের থেকে ফোন আসে। তখনই তিনি রিয়ার বিরুদ্ধে বিহার পুলিশের কাছে মিথ্যে বয়ান রেকর্ড করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ। একটি অপরিচিত নম্বর থেকে এসেছিল ফোন। নম্বরটি নীলোত্‍‌পল মৃণাল নামে এক ব্যক্তির। বিহার পুলিশকে সাহায্য করছেন তিনি। তিনি এই মামলায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ফোনটি ৪০ সেকেন্ডের মধ্যেই কেটে যায়। ফলে কল রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি। ইমেলে সিদ্ধার্থ লিখেছেন, রিয়ার বিরুদ্ধে যা তিনি জানেন না, সেই কথাই তাঁকে বলার জন্য জোর করা হয়েছিল।

এদিকে সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং অভিযোগ করেছেন, যদি রিয়া সত্যিই বিচার চাইতেন, তাহলে যখন তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান, তখন তাঁর সিবিআই তদন্ত চেয়ে পিটিশন দাখিল করা উচিত ছিল। পাটনায় এইআইআর দায়ের করার পর রিয়া সুপ্রিম কোর্টে মুম্বইতে মামলা সরিয়ে আনার আর্জি জানান। মুম্বই পুলিশ যে তাঁকে সাহায্য করছে, তার এটাই তো সবথেকে বড় প্রমাণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *