‘ধার মিটিয়ে দেবেন’! রুদ্রনীলকে এক প্যাকেট ফল ‘উপহার’ পাঠিয়ে আর্জি দোকানির

‘ধার মিটিয়ে দেবেন’! রুদ্রনীলকে এক প্যাকেট ফল ‘উপহার’ পাঠিয়ে আর্জি দোকানির

কলকাতা:  দেশজুড়ে উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ৷ প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ এই অবস্থায় তারকা থেকে সাংবাদিক অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা সহ ফলের ঝুড়ি পাচ্ছেন৷ তাতে সাজানো থাকছে হরেক রকমের ফল৷ এমনই একটা ফলের ঝুড়ি গিয়েছে বেহালায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতেও৷ আবার একটি ফলের ঝুড়ি এসেছে রুদ্রনীলের কাছেও৷ ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি পোস্টও করেছেন অভিনেতা৷ তবে কি বিরোধী দলের নেতাকেও  ফলের ঝুড়িতে শুভেচ্ছা বার্তা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী? 

আরও পড়ুন- তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই বাতিল বিষপান করা শিক্ষিকাদের বদলির নির্দেশ

এক প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমকে রুদ্র জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে নয়৷ তিনি ফল পেয়েছেন পাড়ার এক দোকানদারের কাছ থেকে৷ তাই ফলের ঝুড়ি নয়, ফল এসেছে প্লাস্টিকের প্যাকেটে৷ তবে সঙ্গে একটি কার্ডও পাঠিয়েছেন দোকারদার৷ তাতে জানানো হয়েছে ধার শোধ করার আর্জি! তবে কে এই ফল পাঠিয়েছে সে সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই রুদ্রর৷ অভিনেতা জানিয়েছেন তাঁর দরজার হাতলে ফলের এই প্যাকেট ঝোলানো ছিল৷ 

নাই বা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ফল পেয়ে বেজায় খুশি রুদ্র৷ উপহারের ঝুড়িতে এসেছে আপেল, পেয়ারা, জামরুল, বেদানা, শাঁকালু, মুসাম্বি-সহ প্রায় বিভিন্ন ধরনের ফল৷ উপহার এসেছে অজানা ‘দোকানদার’-এ কাছ থেকে৷ ইতিমধ্যেই সেখান থেকে মুসাম্বি খেয়ে ফেলেছেন অভিনেতা। ধার শোধ করবেন, সে কথাও জানিয়েছেন সাংবাদমাধ্যমকে৷ কিন্তু তিনি তো দোকানদারকেই চেনেন না, তাহলে ফলের দাম শোধ করবেন কী ভাবে? রুদ্রও কম যান না৷ তাঁর সাফ জবাব,  ‘‘যে ভাবে ফল এসেছে, সে ভাবেই আমি দাম শোধ করব। প্লাস্টিকের ব্যাগে দাম দিয়ে ঝুলিয়ে দেব দরজার হাতলে!’’

এই কাণ্ডে নিন্দুকরা বলছেন, সবটাই অভিনেতার কারসাজি৷ তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত৷ এই ভাবে নাকি মুখ্যমন্ত্রীকেই খোঁচা দিতে চেয়েছেন তিনি৷ যদিও এই বিষয়ে একটি বাক্যও খরচ করেননি অভিনেতা৷ 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − ten =