Aajbikel

সিদ্ধার্থের মাথা ছিল তাঁর কোলে, শরীর ঠান্ডা হয়ে এসেছে দেখেই পরিবারের কাছে ছুটে যান শেহনাজ

 | 
সিদ্ধার্থ

মুম্বই:  সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যু ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে তাঁকে৷ একটা ঝড় এসে তাঁর সবটা তছনছ করে দিয়েছে৷ শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন ‘প্রেমিকা’ শেহনাজ গিল৷ তাঁর কোলে মাথা রেখেই চির বিদায় নিয়েছেন সিদ্ধার্থ৷ 
   

আরও পড়ুন- পঞ্চভূতে বিলীন সিদ্ধার্থ, ‘বন্ধু’র শেষকৃত্যে এসে বার বার জ্ঞান হারালেন শেহনাজ

sid


প্রথমে জানা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালে শ্যুটিং সেটে সিদ্ধার্থের মৃত্যুর খবর পান শেহনাজ। প্রেমিকের মৃত্যু সংবাদ পেয়েই সেটে কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ বেরিয়ে আসেন শ্যুটিং সেট ছেড়ে৷ কিন্তু পরে জানা যায়, সেটা সত্যি নয়৷  ঘটনার দিন শেহনাজই সিদ্ধার্থকে প্রথম অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান৷ 

সিদ্ধার্থ


সর্বভারতীয় সংবামাধ্যমের খবর অনুযায়ী,  শেহনাজ পুলিশেকে জানিয়েছেন,  বুধবার রাতে তিনি সিদ্ধার্থের বাড়িতেই ছিলেন৷ তিনিই সিদ্ধার্থকে কুপার হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে সিদ্ধার্থর পরিবারের লোকজনও অবশ্য ছিলেন৷ শেহনাজের বয়ান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ তিনি সিদ্ধার্থের ঘরে ঢোকেন৷ দেখেন সিদ্ধার্থ কোনও সাড়া দিচ্ছেন না। সঙ্গে সঙ্গে শেহনাজ নিজের কোলে তাঁর মাথা কোলে তুলে নেন। বারবার করে তাঁকে ডাকতে থাকেন। এর পর তিনি বুঝতে পারেন সিদ্ধার্থের শরীর ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে৷  তড়িঘড়ি ছুটে যান সিদ্ধার্থের মায়ের কাছে৷ খবর দেন বোনেদের৷ এর পর অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সিদ্ধার্থকে। তখন সাড়ে ১০টা বেজে গিয়েছে৷ যতক্ষণে সিদ্ধার্থ হাসপাতালে পৌঁছন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে৷ হাসপাতালে আনার পরেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 

আরও পড়ুন- ঠিক কী কারণে মৃত্যু? প্রকাশ্যে সিদ্ধার্থের অটোপসি রিপোর্ট

সিদ্ধার্থ


সিদ্ধার্থর পরিবার জানায়,  বুধবার রাতে অস্বস্তি বোধ করছিলেন সিদ্ধার্থ৷ রাতে যৎসামান্য খাবার খেয়েই ঘুমতে চলে যান৷ রাতে একটি ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ঘুম আর ভাঙেনি৷ শেহনাজ এখনও মেনে নিতে পারেননি সিদ্ধার্থের চলে যাওয়াটা৷ প্রেমিকের শেষকৃত্যে গিয়েও বারবার জ্ঞান হারিয়েছেন৷ চোখের জল বাধ মানছে না তাঁর৷ কাঁদতে কাঁদতে বাবাকে বলেছেন, ‘‘আমার কোলে মাথা রেখে চলে গেল সিদ্ধার্থ।’’

অভিনেতার মৃত্যুর সঙ্গে অনেকেই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তুলনা করতে শুরু করেছেন৷ যদিও সিদ্ধার্থের পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, তাঁর মৃত্যুর মধ্যে কোনও রহস্য নেই। এমনকী ‘অস্বাভাবিক’ বা ‘মানসিক অবসাদ’-এর মতো শব্দও একেবারে বেমানান৷ তাঁর মৃত্যু নিয়ে যেন কোনও  গুজব ছড়ানো না হয়৷ 
 

Around The Web

Trending News

You May like