কলকাতা: এ বছর সত্যজিতের জন্মশতবর্ষ। তাই বছরের গোড়া থেকেই অনেকের অনেক পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এর মাঝখানে এসে পড়ে করোনার মতো মহামারী। শুরু হয় লকডাউন। ফলে ধীরে ধীরে সমস্ত পরিকল্পনা বাতিল হতে থাকে। আর এবার যখন মানুষ নিউ নর্মালে ফিরছে তখন সত্যজিতের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করার কথা ভাবলেন ছেলে সন্দীপ রায়।
জানা গিয়েছে সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধা জানাতে তিনি এ বছর একটি ছবি বানাতে চলেছেন যেখানে ফেলুদা এবং প্রফেসর শঙ্কুকে একসঙ্গে দেখা যাবে। ছবিটি প্রযোজনা করবে এসভিএফ। কিন্তু কীভাবে এই চরিত্র চিত্রায়ন করবেন সন্দীপ? জানা গিয়েছে ছবি এক থাকলেও এক ফ্রেমে কিন্তু ফেলুদা এবং প্রফেসর শঙ্কুকে একসঙ্গে দেখা যাবে না। প্রদোষ চন্দ্র মিত্র এবং ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু দুটি হাফে উপস্থিত হবেন দর্শকের কাছে। প্রথম ভাগে থাকবে একটি চরিত্রকে নিয়ে ছবি আর দ্বিতীয়ভাগে থাকবে অন্য আরেকটি ছবি যেখানে চিত্রায়িত হবেন সত্যজিতের আর এক চরিত্র। তবে কোন কোন কাহিনী নিয়ে ছবি বানাবেন তা এখনও স্থির করেননি সন্দীপ রায়। কারণ এই পরিস্থিতিতে বিদেশে গিয়ে শুটিং করার সম্ভব নয়।
এদিকে প্রফেসর শঙ্কুর বেশিরভাগ বিদেশের। তাই এদিকে একটা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু ফেলুদার বেশিরভাগ গল্প দেশের মধ্যে। সেক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না সন্দীপ রায়কে। পরিচালক জানিয়েছেন এক ছবিতে নিয়ে আসা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু তিনি দর্শকের কারণে এক্সপেরিমেন্ট করতে চান। এক্ষেত্রে শঙ্কুর কাহিনীর প্রথম দিকের গল্পগুলোকেই বাছতে চাইছেন সন্দীপ রায়। কারণ সেগুলি পটভূমিকা গিরিডি শহর। কিন্তু ফেলুদের ব্যাপারে এখনও ঘোষণা করেনি কিছু। শঙ্কুর চরিত্রের আবার ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়কেই দেখতে পাবে দর্শক। তবে ফেলুদার চরিত্র কাকে দেখা যাবে সে সম্পর্কে পরিচালক এখনও কিছু জানাননি। জানা গিয়েছে জানুয়ারি শুটিং শুরু হবে এই ছবির শুটিং। আর মে মাসে ছবিটি মুক্তি পাবে।
এদিকে কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পাবে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ওয়েব সিরিজ ‘ফেলুদা ফেরত’। ফেলুদা তথা প্রদোষ মিত্র্রের চরিত্রে অভিনয় করেছেন টোটা রায়চৌধুরী। এছাড়া তপেশরঞ্জন চৌধুরী বা তোপসের চরিত্রে দেখা যাবে কল্পন মিত্রকে। লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায় বা জটায়ুর চরিত্রে অনির্বাণ চক্রবর্তীকে দেখা যাবে। সিরিজটি প্রযোজনায় রয়েছে সুরিন্দর ফিল্মস। ফেলুদার দুটি গল্প ‘ছিন্নমস্তার অভিশাপ’ এবং ‘যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডুতে’ নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘ফেলুদা ফেরত’। সত্যজিৎ রায়ের গল্প অনুসারে ‘ছিন্নমস্তার অভিশাপ’-এর প্লট হাজারিবাগে। আর পরেরটা যো কাঠমান্ডুতে, তা নামেই বোঝা যায়।