মুম্বই: আরিয়ান খান মাদক মামলায় এখনই রেহাই মিলছে না চাঙ্কি পাণ্ডের কন্যা অনন্যার৷ আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে উঠে আসে অনন্যার নাম৷ এর পরেই তাঁর বান্দ্রার বাড়িতে হানা দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসাররা৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যেও ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে৷ বৃহস্পতিবার দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর শুক্রবারও ডেকে পাঠানো হয় অনন্যা পাণ্ডেকে৷ কিন্তু এদিন এনসিবি’র দফতরে হাজিরা দিয়েই ধমক খান তিনি৷ কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন- ইউভানকে কোলে তুলে বিকিনিতে উদ্দাম নাচ শুভশ্রীর, ঘাম ঝরছে নেট পাড়ায়
শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাজিরা দিতে পারেননি অনন্যা৷ বেলা ১১টায় তাঁকে ডাকে পাঠানো হলেও তিনি পৌঁছন বেলা ২টোয়৷ যার জেরে জোড় ধমক খেতে হয় তাঁকে৷ এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের অফিসে ঢুকতেই বকুনি খান চাঙ্কি-কন্যা৷ তিনি বলেন, ‘এটা তোমার ছবির কোনও সেট নয়, যে দেরি করে এলে চলবে৷ এটা কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিস৷ অফিসাররা তোমার জন্যেই অপেক্ষা করছিলেন৷ এবার থেকে সময়ে আসবে৷’
এদিকে দু’দিনই মেয়ের পাশেই ছিলেন বাবা চাঙ্কি পাণ্ডে। মেয়ের সঙ্গেই এনসিবি অফিসে হাজির হন তিনি৷ জেরা শেষে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে যান৷ এনসিবি সূত্রে জানা গিয়ছে, প্রথম দিন এনসিবি’র জেরার মুখে ভেঙে পড়েছিলেন অনন্যা৷ বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। তবে দ্বিতীয় দিন তিনি ছিলেন অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী৷ অনন্য এনসিবি অফিসারদের জানিয়েছেন, তিনি কোনওভাবেই মাদকের সঙ্গে যুক্ত নন। কোনও দিন মাদকও নেননি। গাঁজা যে মাদক তিনি তা জানতেন না৷ এমনকী আরিয়ানকে নেহাত মজা করেই গাঁজা জোগাড় করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে তিনি মুখে যাই বলুন, তাঁর মোবাইল ও ল্যাপটপ আপাতত এনসিবি’র হেফাজতে৷