মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই বারবার উঠে আসছে বলিউডে মাদকচক্রের গল্প। ইতিমধ্যেই রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মাদক সেবন এবং সুশান্তকে মাদক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নারকোটিক্স ব্যুরো কন্ট্রোলের তরফে শুরু হয়েছে তদন্ত। এর মাঝখানে অভিনেতা সইফ আলি খান দাবি করলেন তিনি ২২ বছর বয়সেই ড্রাগ নিতেন।
সইফ জানিয়েছেন, যখন তাঁর ২২ বছর বয়স ছিল, তখন থেকেই তিনি LSD নিতেন। এটি এক ধরনের নিষিদ্ধ ড্রাগ। মূলত আমেরিকায় তৈরি করা হয় এটি। কিন্তু এটি বিক্রি করার আগে বা সরবরাহ করার আগে আবার তরলের আকারে নিয়ে আসা হয়। মুড চেঞ্জ করার ক্ষেত্রে ড্রাগ অত্যন্ত কার্যকরী। অনেকেই এই ড্রাগ নিয়ে বাহ্যজ্ঞান লিপ্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে সইফ আলি খান দাবি করেছেন অন্ধকারে নিয়ে তাঁর একটা ভয় ছিল। LSD সেটি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল। সইফ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “২২ বছর বয়সের LSD নিতে শুরু করি। তারপরে উপলব্ধি করি যে অন্ধকারে আমার যে ভয় ছিল সেই অনুভূতিটা কেটে গিয়েছে। ক্রমশ আমি এই ড্রাগে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি।” অভিনেতা এও জানিয়েছেন যে এই মাদক সেবন তাঁর শরীরের পক্ষে এবং মানসিক দিকের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারত। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে সেটা হয়নি। বরং তাঁকে সাহায্য করেছে LSD।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা রানাউত বলেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে 'নর্দমা' বলে অভিহিত করেন। বলেন, এখানকার পার্টিগুলিতে ড্রাগ নেওয়া হয়। ৯৯ শতাংশ বলিউড তারকা এর সঙ্গে জড়িত। কঙ্গনা আরও বলেছিলেন যে বলিউড তারকারা জলের মতো ড্রাগ নেন। এবং তারপর তাঁরা কতটা অশ্লীল হয়ে পড়েন তা তিনি দেখেছেন। “আমার বয়সী অনেক যুবক অভিনেতা স্বতন্ত্রভাবে ড্রাগ নেন এবং শো করেন। ডিলাররাও এক। সব কিছুই খুব সুন্দরভাবে সামলানো হয়। এই জাতীয় পার্টিগুলিতে অনেকে রয়েছেন যাঁরা মাদক এবং ধোঁকাবাজির সঙ্গে জড়িত।”
কঙ্গনা আরও দাবি করেছেন যে অনেক সরকার মাদক মাফিয়াদের উন্নতিতেও সহায়তা করেছিল। “অনেক সরকার এই বলিউড ড্রাগ মাফিয়াকে বাড়াতে সহায়তা করেছে। এই লোকেরা স্বজনপ্রীতিবাদের প্রচার করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে শৈশব থেকেই মাদক ব্যবহার করেন এবং পরে অভিনেতা বা পরিচালক হন। এই অভিনেতাদের অনেকের মধ্যেই আমি একজনকে ডেট করেছিলাম। তাঁরা একটি জায়গায় যান। মদ্যপান শুরু করেন এবং তারপরে ড্রাগ নেন। আমি দেখেছি এটি কতটা অশ্লীল হয়ে ওঠে এবং এই ড্রাগ পার্টিতে সব কিছুই নিয়নত্রণের বাইরে চলে যায়।”