কলকাতা: ‘গাড়ি কিনলাম আমরা৷ চড়ল পল্লবীর পরিবারের লোকেরা৷’ আলিপুর আদালতে সেরেস্তায় বসে আক্ষেপের সুর সাগ্নিকের মা সন্ধ্যা চক্রবর্তীর গলায়।
আরও পড়ুন-কোথায় যেত নীল ছবির টাকা? ফের বিপাকে শেট্টির স্বামী! ইডির জালে রাজ
মৃত অভিনেত্রী পল্লবী দে’র লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে খুন ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছে পল্লবীর পরিবার৷ সাগ্নিককে আপাতত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ ছেলের এই পরিণতিতে চোখে জল মা সন্ধ্যা চক্রবর্তীর৷ নির্বাক বাবা সুভাষ চক্রবর্তী৷ অন্যদিকে, আদালতের এই নির্দেশে স্বস্তিতে পল্লবীর বাবা নীলু দে৷ তাঁর দাবি, মেয়ে পল্লবীকে খুন করেছে সাগ্নিক ও পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা৷ পল্লবীর গালে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও দাবি তাঁর৷
এদিন সাগ্নিকের মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী জানান, অডি গাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য বাবা ও দাদুর কাছে আবদার করেছিল তাঁর ছেলে। সেই আবদার রাখতেই বাবা ও দাদু দু’জনে মিলে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড অডি গাড়ি ৯ লক্ষ টাকা দিয়ে সাগ্নিককে কিনে দেন। তবে মাত্র কয়েকবার ওই গাড়িতে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলেন তাঁরা। সন্ধ্যার অভিযোগ, কিছু দিনের মধ্যেই ওই গাড়িটি নিজেদের জিম্মায় নেয় পল্লবীর পরিবারের লোকজন। এর পর থেকে গাড়িটি তাঁদের কাছেই থাকত। তাঁরাই কালো রঙের ওই অডি গাড়িটি চেপে যাতায়াত করেন। এমনকী, গড়ফা থানায় সাগ্নিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার সময়েও তাঁরা ওই গাড়ি করেই এসেছিলেন। অথচ ওই গাড়ির ইএমআইয়ের টাকা তাঁদের এখনও গুনতে হচ্ছে।
গাড়ির মতো ফ্ল্যাট নিয়েও দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ রয়েছে৷ পল্লবীর পরিবারের দাবি, নিউ টাউনের একটি নামী আবাসনে ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন পল্লবী৷ অন্যদিকে সাগ্নিকের বাবা-মায়ের দাবি, ৮০ লক্ষ টাকার ওই ফ্ল্যাটের জন্য এখনও পর্যন্ত তাঁরা ৪৩ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। বাকি টাকাটা ইএমআইয়ের মাধ্যমে মেটাচ্ছেন৷ সত্যটা সামনে আনার জন্য প্রয়োজনে ঘটনার তদন্ত হলেও আপত্তি নেই তাঁদের৷
সাগ্নিক উচ্চমাধ্যমিকের পর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে শুরু করেছিলেন। কিন্তু পড়া শেষ করতে পারেননি। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজে যোগ দেন। বর্তমানে নিজের অফিস খুলে কম্পিউটার সংক্রান্ত কাজ করছিলেন। সাগ্নিকের মা জানান, ঐন্দ্রিলা সম্পর্কে কোনও কথাই জানতে না তিনি৷ ছেলে যে সুকন্যা নামে এক বান্ধবীকে রেজিস্ট্রি করে বিয়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেটাও তারা পরে জানতে পেরেছেন৷ তিনি আরও জানান, পল্লবীর সঙ্গে ছেলে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকুক তা চায়নি চক্রবর্তী পরিবার৷ পরিবারের ইচ্ছের বিরুদ্ধেই সাগ্নিক পল্লবীকে নিয়ে কলকাতার ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন৷ তবে তাঁদের লিভ ইন সম্পর্কে আপত্তি ছিল না পল্লবীর পরিবারের৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>