মরনোত্তর সম্মান পেলেন ঐন্দ্রিলা, একই মঞ্চে সম্মানিত সব্যসাচী বললেন, ‘খুবই কষ্টের…’

মরনোত্তর সম্মান পেলেন ঐন্দ্রিলা, একই মঞ্চে সম্মানিত সব্যসাচী বললেন, ‘খুবই কষ্টের…’

কলকাতা:  তাঁর লড়াই আজও ভোলেনি মানুষ। কী ভাবে লড়তে হয় তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। তবে ঐন্দ্রিলার কথা উঠলেই চলে আসে সব্যসাচী চৌধুরীর নাম। তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন আজকের প্রজন্মকে দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছে ভালোবাসার গভীরতা কতখানি। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত প্রেমিকাকে আগলে রেখেছিলেন সব্যসাচী৷ ‘ফাইট’ করেছিলেন ঐন্দ্রিলাও৷ কিন্তু, সব লড়াই শেষ হয় ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর৷ সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান অভিনেত্রী। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের মঞ্চ থেকে মরনোত্তর সম্মান দেওয়া হল ঐন্দ্রিলাকে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘জিয়নকাঠি’ খ্যাত অভিনেত্রীর বাবা-মা৷ এদিন মোট ৬৬ জনকে সম্মান জানানো হয়। বিভিন্ন পুরস্কারের পাশাপাশি শিল্পীদের আজীবন এবং মরণোত্তর স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই মঞ্চ থেকে পুরস্কৃত হন সব্যসাচীও। রামপ্রসাদ ধারাবাহিকের জন্য ‘অনুপ্রেরণা মূলক চরিত্র’-র সম্মান দেওয়া হয় তাঁকে।  

ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পরেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন সব্যসাচী। কাজ ছাড়া ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনও কথাই বলেন না৷ তবে এদিন প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। এক প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমকে সব্যসাচী বলেন, ‘২৫ বছর হওয়ার আগেই ও চলে গেল। এটুকু সময়ের মধ্যে ও যে কাজ করেছে, তাতে মানুষ ওকে মনে রেখেছে। শিল্পী হিসাবে এটাই বড় প্রাপ্তি। আজ ওর মা-বাবাও আজ এসেছেন। তাঁদের কাছে এই মুহূর্তটা যতখানি গর্বের, ঠিক ততটাই কষ্টের।’

টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কারের মঞ্চে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় এগিন শোনা যায় সব্যসাচীর প্রশংসা৷ তিনি বলেন, ‘রামপ্রসাদ সব্যসাচীর তুলনা হয় না’। এ প্রসঙ্গে সব্যসাচীর বলেন, ‘এত ব্যস্ততার মধ্যেও যে মুখ্যমন্ত্রী আমার সিরিয়াল দেখেন, আমাকে মনে রেখেছেন, এটাই বড় প্রাপ্তি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *