‘ধর্ষণ ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ’ বলে বিতর্কিত কিরণ খের! সত্যিটা জানুন

নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদ চলছে নেটদুনিয়ায়। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। অনেকে আবার বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন। এর মধ্যেই শোনা গেল বিজেপি নেত্রী ও অভিনেত্রী কিরণ খের নাকি বলেছেন 'ধর্ষণ ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ এবং প্রথা'। এও অভিযোগ যে কিরণ খের বলেছেন যে এই 'প্রথা' কোনওভাবেই বন্ধ করা যাবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল এই পোস্ট।

নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদ চলছে নেটদুনিয়ায়। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। অনেকে আবার বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন। এর মধ্যেই শোনা গেল বিজেপি নেত্রী ও অভিনেত্রী কিরণ খের নাকি বলেছেন ‘ধর্ষণ ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ এবং প্রথা’। এও অভিযোগ যে কিরণ খের বলেছেন যে এই ‘প্রথা’ কোনওভাবেই বন্ধ করা যাবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল এই পোস্ট।

পোস্টটি অবশ্য কিরণ খের করেননি। সাকিব ঘিয়াস খান নামে কোনও এক ব্যক্তি ফেসবুকে তা পোস্ট করেছেন। কিরণ খেরের ছবির সঙ্গে এই কথা লেখা রয়েছে। কিরণ খেরের ছবি সহ ওই পোস্টে ‘Viral in India’ নামে একটি ফেসবুক পেজের লোগো রয়েছে। প্রসঙ্গত এই ফেসবুক পেজ থেকে এই প্রথম ভুয়ো খবর ছড়ানো হল এমন নয়। এর আগেও এই পেজ থেকে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে। কিরণ খেরের নামে এই পোস্টটি অনেকেই শেয়ার করেছেন। কিন্তু অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী কি এমন ধরনের কোনও কথা বলেছেন?

একেবারেই না। কিরণ খের কখনই বলেননি ‘ধর্ষণ ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ এবং প্রথা’। ভুয়ো খবর ছড়িয়ে তাঁকে নিশানা করা হয়েছে। তিনি ধর্ষণের তীব্রভাবে নিন্দা করেন। শুধু তাই নয়। ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিও করেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর বক্তব্য উলটে দিয়ে তাঁর নামে ভুয়ো খবর ছড়াল। ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি একটি ভিডিওয় কিরণ ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি তুলেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ভারতে ধর্ষণের মতো ঘটনা আজকের নয়। বহুদিনের। সময়ের সঙ্গে এটি থামার পরিবর্তে বছরের পর বছর এসব ঘটে চলছে। ধর্ষণ বন্ধ করার একটি উপায় বলেছিলেন কিরণ। জানিয়েছিলেন নারীদের প্রতি এই সমাজের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে। ধর্ষকদের ফাঁসি হওয়া উচিত। তাঁর এই বক্তব্যই বিকৃত করা হয়েছে আর তা নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *