মাদক পাচারের দায়ে গ্রেফতার রিয়ার ভাই, এনসিবির জালে শৌভিক ও স্যামুয়েল

 

এনসিবি সূত্রে জানা গেছে যে জেরার মুখে শৌভিকই দাবি করেন যে দিদি রিয়াই তাঁকে ও মিরান্ডাকে মাদক এনে দিতে বলতেন।এমনকি রিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীরও যোগাযোগ রয়েছে।

মুম্বই:  সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে সুশান্তের মাদকাসক্তি নিয়ে কিছু তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। রিয়া মাদকের বিষয়টি অস্বীকার করলেও স্বীকার করেছিলেন সুশান্ত গাঁজা সেবন করতেন।এবার সেই সূত্রে তল্লাশি চালিয়েই মাদক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী সহ সুশান্তের বাড়ির প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকেও গ্রেপ্তার করল‌ নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। শুক্রবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতের দিকে  গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। শনিবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে।

এর আগে এই সূত্রেই দুজন মাদক ব্যবসায়ী জাহিদ ভিলাত্রা এবং আবদেল বসির পরিহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জেরা করেই শৌভিক ও মিরান্ডার নাম উঠে আসে। মাদক সংক্রান্ত তদন্তে বান্দ্রার একটি ফুটবল ক্লাবে তল্লাশি চালান নার্কোটিকস কট্রোল ব্যুরোর আধিকারিরা সেখান থেকেই তাঁরা জানতে পারেন মাদকের খোঁজে গিয়ে সেই ক্লাবেই সোহেল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচয় হয় শৌভিকের। সেই রিয়া ও শৌভিককে গাঁজা সরবরাহ করত।

এদিকে রিয়ার তিনটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে মাদক সংগ্রহের জোরদার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।পাশাপাশি এনসিবি সূত্রেও জানা গেছে যে জেরার মুখে শৌভিকই দাবি করেন যে দিদি রিয়াই তাঁকে ও মিরান্ডাকে মাদক এনে দিতে বলতেন।এমনকি রিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীরও যোগাযোগ রয়েছে।  শুক্রবার সকাল সাড়ে ছ'টা নাগাদ রিয়া-শৌভিকের মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনসিবি-র একটি দল। আন্ধেরিতে সুশান্তের বাড়ির প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতেও তল্লাশি চালায়  এনসিবি-র অন্য একটি দল তল্লাশি চালায়। এর পরেই স্যামুয়েল এবং শৌভিককে জিজ্ঞাসবাদের জন্য নিজেদের দফতরে নিয়ে আসে এনসিবি। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − six =