বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু, হবু বরের সঙ্গেই আইবুড়ো ভাত খেলেন ইমন

কলকাতা: শোভনের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেছে বহুদিন। কিন্তু পুরনো সম্পর্কের যন্ত্রণা ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করেছেন ইমন চক্রবর্তী। সংগীত শিল্পী নীলাঞ্জন ঘোষের সঙ্গে তিনি কিছুদিন আগেই বাগদান সেরে ফেলেন। শোনা গিয়েছে আইনি মতে নাকি বিয়েটাও সেরে ফেলেছেন তাঁরা। এবার সামাজিক বিয়ে করবেন ইমন ও নীলাঞ্জন।

d40d3994c89f370a0b36e96148550886

কলকাতা: শোভনের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেছে বহুদিন। কিন্তু পুরনো সম্পর্কের যন্ত্রণা ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করেছেন ইমন চক্রবর্তী। সংগীত শিল্পী নীলাঞ্জন ঘোষের সঙ্গে তিনি কিছুদিন আগেই বাগদান সেরে ফেলেন। শোনা গিয়েছে আইনি মতে নাকি বিয়েটাও সেরে ফেলেছেন তাঁরা। এবার সামাজিক বিয়ে করবেন ইমন ও নীলাঞ্জন।

নতুন বছরেই শুর হবে ইমন ও নীলাঞ্জনের দাম্পত্য জীবন। নতুন বছরেই তাঁরা সাত পাকে বাঁধা পড়বেন। তার আগে আইবুড়ো ভাতও একসঙ্গে খেলেন তাঁরা। আত্মীয়দের তরফে এই আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করা হয়েছিল। মেনুতে ছিল ভাত, পাঁচ রকমের ভাজা ও নানা রকমের মাছ। একাবারে বাঙালি মেনুতেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। এরপর চলে আর্শীবাদ নেওয়ার পালা। এদিন নীলাঞ্জনের পরনে ছিল কালো রঙের কুর্তা, জহর কোট ও ডেনিম। ইমন পরেছিলেন ভারী সিল্কের শাড়ি। সঙ্গে ছিল সোনার গয়না। অনুষ্ঠানের ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন- “নতুন পথচলা শুরু… পরিবারের সঙ্গে আইবুড়ো ভাতের সেলিব্রেশন।” 

নীলাঞ্জন ও ইমন বহুদিন থেকেই পরিচিত। পেশার খাতিরে তো বটেই। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁরা বন্ধুও ছিলেন। গত ডিসেম্বর থেকে নীলাঞ্জন ও ইমনের মধ্যে সম্পর্কের শুরু। তারপর থেকেই দু’জনে নাকি তাড়াতাড়ি সম্পর্ককে পরিণতি দিতে চাইছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে পরিকল্পনা বাধা পায়। কিছুদিন আগে বাগদান পর্ব সেরে ফেলেন ইমন। ইমন এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নীলাঞ্জন তাঁকে যতটা ভালবাসেন তার থেকেও বেশি আগলে রাখেন। গায়িকা জানান, এই শুভদিনে মায়ের কথা মনে পড়ছে তাঁর। ইমনের সংগীত শিক্ষা শুরু তাঁর মায়ের কাছেই। রবীন্দ্রসংগীতের তালিমও মায়ের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন ইমন। এরপর বাংলার সংগীত জগতে আত্মপ্রকাশ করেন ইমন। এরপর ২০১৭ সালে জাতীয় পুরস্কার পান অনুপম রায়ের সুরে ‘তুমি যাকে ভালবাসো’ গানটিতে গলা দেওয়ার জন্য। কিছুদিন আগেই ‘সারেগামাপা’ রিয়ালিটি শোয়ে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। বিয়ের পরও কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ইমন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *