মুম্বই: দিন যতই যাচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার একের পর এক নতুন তথ্য। সামনে আসছে এর মধ্যে বেশিরভাগটাই অভিনেত্রী ও সুশান্তের বান্ধবীর রিয়া চক্রবর্তীকে ঘিরে। প্রথমে আত্মহত্যার পর তদন্ত শুরু করেছিল মুম্বই পুলিশ। তারপর বিহার পুলিশের তদন্ত শুরু হয়। আর এখন সিআইডি এবং নারকোটিকস ডিপার্টমেন্টের সাঁড়াশি জেরায় নাজেহাল অবস্থা রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর পরিবারের। একের পর এক জেরা চলছে তাঁদের। এরই মধ্যে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী জানালেন তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করে তার সঙ্গে একটি লম্বা মেসেজ করে একথা জানিয়েছেন রিয়া। বলেছেন, তাঁর এবং তার পরিবারের ভয়ে ভয়ে দিন কাটছে। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীকে ছেঁকে ধরেছেন একদল সাংবাদিক। ভিডিওটি পোস্ট করে রিয়া লিখেছেন এটি তাঁদের বিল্ডিং কম্পাউন্ডের ভেতরের ঘটনা। তাঁরা সিআইডি, ইডি এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁর এবং তাঁর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে তিনি স্থানীয় পুলিশকে ব্যাপারটি জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কোনও সাহায্য করা হয়নি বলে অভিযোগ অভিনেত্রীর। এমনকি তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রিয়া তাঁদের এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কোনও সাহায্য আসেনি। রিয়া প্রশ্ন তুলেছেন এভাবে কীভাবে তাঁরা বাঁচতে পারেন? এরপর মুম্বাই পুলিশকে ট্যাগ করে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন রিয়া।
রিরা বিরুদ্ধে সিবিআই ও ইডির তরফে তো জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল। এবার রিয়া বিরুদ্ধে NDPS আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে ইডির তরফে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল সেখানে উল্লেখিত সকলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তারা। সূত্রের খবর, নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইন ১৯৮৫-এর আওতায় মামলা করেছে এনসিবি। ২০, ২২, ২৭ ও ২৯ ধারায় রিয়া ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই ধারাগুলি অনুযায়ী ড্রাগ সেবন ও ড্রাগ পাচার ছাড়াও একাধিক অভিযোগ উঠেছে রিয়ার বিরুদ্ধে। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক স্বার্থে ড্রাগের আদান-প্রদান ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগও উঠেছে। আইন অনুযায়ী রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অন্তত ১০ বছরের জেল হতে পারে তাঁর।