মুম্বই: রিয়া চক্রবর্তীর গ্রেফতারিকে “ন্যায়বিচারের নামে প্রহসন” আখ্যা দিয়েছেন তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে। মঙ্গলবার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো ২৮ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। গ্রেফতার করা হয় অভিনেত্রীকে। কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার মধ্যে একবার তাঁর গ্রেফতার হওয়া ভাই সৌভিক চক্রবর্তীর মুখোমুখি বসিয়ে। তখনই কান্নায় ভেঙে পড়েন রিয়া।
নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে জানা গিয়েছে যে তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য ড্রাগ আনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। রিয়ার আইনজীবী মনশিন্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে, “তিনটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একযোগে একজন মহিলাকেই কেবল টার্গেট করেছে। কারণ তিনি একজন মাদকসেবীর প্রেমে পড়েছিলেন। যাঁরা মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন।” সুশান্ত সিংয়ের পরিবারের অভিযোগ যে রিয়া তাঁকে মানসিকভাবে হয়রান করেছিলেন। তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে রিয়া ১৫ কোটি টাকা সরিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। সুশান্তের মৃত্যুর পিছনেও রিয়ার হাত ছিল বলে অভিযোগ।
রবিবার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিয়াকে ডেকে পাঠিয়েছিল। সেখানে উপস্থিত হওয়ার সময় অভিনেত্রীকে মিডিয়া ছেঁকে ধরে। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে বলেছিলেন, “বেশ কয়েক বছর ধরে মুম্বইয়ের পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ছিলেন সুশান্ত এবং অবৈধভাবে ড্রাগ সেবনের কারণে আত্মহত্যা করেছিলেন।”
ড্রাগ নিয়ে সুশান্ত সিং রাজপুত এবং তাঁর চার বোনের একজনের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন হয়েছিল। সেই কথোপকথনও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে ড্রাগের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। এই কথোপকথনের পাঁচ দিন পরে সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যান। রিয়া চক্রবর্তী এরপর সুশান্তের ওই দিদি প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। “বোগাস মেডিকেল প্রেসক্রিপশন” তৈরি করে আত্মহত্যা করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিয়া। প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেছেন তিনি।