মুম্বই: শিকে ছিঁড়ল না রিয়া চক্রবর্তীর ভাগ্যে। মঙ্গলবারও বম্বে হাইকোর্ট অভিনেত্রীর জামিনের আবেদন স্থগিত করে দিল। এদিন মামলার শুরুতেই নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো রিয়ার জামিনে বিরুধিতা করে। যার ফলে মামলার বাগবিতন্ডা এদিনও অব্যাহত রইল। এখন বাইকুল্লার জেলেই থাকতে হবে রিয়াকে।
এদিন রিয়ার জামিনের শুনানি শুরু হওয়ার আগেই তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে এনসিবি। এনিয়ে এফিডেবিটও জমা দেয় তারা। সেখানে বলা হয় অভিনেত্রী হাই সোসাইটির ড্রাগ সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। এ নিয়ে আদালতের কাছে প্রমাণও জমা দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে সুশান্ত মাদকাসক্ত তা জানতেন রিয়া। তা সত্ত্বেও তাঁকে মাদক সরবরাহ করতেন। এমনকী ড্রাগ মজুতও রাখতেন তিনি। শোনা রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে এদিন জানান, রিয়া সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে আসার আগে থেকেই সুশান্ত মাদক নিতেন। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে সারা আলি খান এবং শ্রদ্ধা কাপুরের বয়ানেরও উল্লেখ করা হয়। তিনি এও বলেন, সুশান্ত বেঁচে থাকলে মাদক আইনে তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এত তথ্য প্রমাণের পরও এনসিবির দিকেই পাল্লা ভারী হয়। রিয়াকে জেলে রাখার পক্ষেই মত দেয় বম্বে হাই কোর্ট। রিয়া ছাড়াও শৌভিক, দীপেশ এবং স্যামুয়েলের জামিনের আবেদনও করা হয়। কিন্তু তাও খারিজ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: পরিবারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর, মানহানির মামলা দায়ের আরবাজ খানের
প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই সুশান্তের ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট সিবিআইয়ের কাছে পেশ করে AIIMS। মঙ্গলবার সকালে সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে চিকিৎসক প্যানেলের৷ এইমস-এর চিকিৎসকরা তাঁদের পর্যবেক্ষণের কথা সিবিআইকে জানিয়েছেন৷ এইমস-এর চিকিৎসক প্যানেলের অনুসন্ধানকে বিশেষজ্ঞের মতামত বলে গণ্য করা হবে৷ চিকিৎসক দলের প্রধান সুধীর গুপ্ত জানিয়েছেন, সুশান্তের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সিবিআই এবং চিকিৎসকরা একমত। কিন্তু আইনের সব দিক খতিয়ে খতিয়ে দেখার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে৷
আরও পড়ুন: নিজের বায়োপিক নিজেই পরিচালনা করবেন ম্যাডোনা, চলছে অভিনেত্রী খোঁজার কাজ