অঙ্কিতা লোখন্ডের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন রিয়া

মুম্বই: জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী এবার আইনি লড়াইয়ের কথা ভাবছেন। সুশান্তের প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা লোখান্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন রিয়া। সম্প্রতি এমনই খবর শোনা যাচ্ছে বলিউডে।

মুম্বই: জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী এবার আইনি লড়াইয়ের কথা ভাবছেন। সুশান্তের প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা লোখান্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন রিয়া। সম্প্রতি এমনই খবর শোনা যাচ্ছে বলিউডে।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ওঠে একাধিক অভিযোগ। সুশান্তের বাবা কে কে সিং অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যা উস্কানি ও আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করেন। এছাড়া অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখন্ডে সুশান্তের মৃত্যুর পর অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে রিয়া যখন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে বিদেশে যাওয়ার পথে বিমানে ওঠার আগে ভয় পেয়েছিলেন সুশান্ত, তাঁর ক্লস্টোফোবিয়া রয়েছে, তখন সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিয়াকে একহাত নেন অঙ্কিতা। সুশান্তের একটি বিমান চালানোর ভিডিও পোস্ট করে রিয়াকে পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে রিয়া জানিয়েছিলেন যে সুশান্তের সঙ্গে ব্রেক-আপের পরেও অঙ্কিতার ফ্ল্যাটের ইএমআই দিতেন সুশান্ত। কিন্তু কাগজপত্র দেখিয়ে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন অঙ্কিতা। সবমিলিয়ে অঙ্কিতা ও রিয়ার মধ্যে চারানউতোর চলেছিল। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে রিয়া এবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

কিছুদিন আগে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। ১ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে রিয়াকে। অভিনেত্রীকে জানানো হয়েছে তাঁকে রোজ এজলাসে হাজিরা দিতে হবে। যদি কোনও কারণে তিনি অনুপস্থিত থাকেন তবে তার উপযুক্ত কারণ জানাতে হবে। তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে রিয়াকে। কোনওভাবেই তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। যদি কোনও কারণে তাঁকে দেশের বাইরে যেতে হয়, তবে গ্রেটার মুম্বইয়ের NDPS আদালতের বিশেষ বিচারপতির অনুমতি লাগবে। এমনকী তাঁকে গ্রেটার মুম্বইয়ের বাইরে যেতে হলেও তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে রিয়াকে। বুধবার থেকে ১০ দিন পর্যন্ত তাঁকে প্রতিদিন নিকটবর্তীর থানায় হাজিরা দিতে হবে। এরপর থেকে ছ’মাস পর্যন্ত প্রতিমাসের প্রথম সোমবার তদন্তকারী সংস্থার অফিসে উপস্থিত হতে হবে।

তবে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আদালতের দ্বারস্থ হওয়া রিয়ার এই প্রথম নয়। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার এবং গুজব যারা ছড়িয়েছে সেইসব ব্যক্তি এবং মিডিয়াগুলির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত তিনি নেন। রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দের জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয় যে, “আমরা টিভি ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সুশান্ত মামলায় মোবাইল রেকর্ডিং এবং ভুয়া গল্পগুলি ও রিয়া চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট রেফারেন্স সহ তাদের বিবরণী রেকর্ড করার জন্য টিভি এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ভুয়ো এবং মিথ্যা দাবী করা ব্যক্তিদের একটি তালিকা তাদের কাছে পাঠিয়ে দেব। তদন্তকে বিভ্রান্ত করার জন্য আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিবিআইকে অনুরোধ করব।” রিয়া এখন কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) অফিসার নূপুর প্রসাদকে একটি চিঠি লিখে তাঁর প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছেন। যিনি কয়েকটি টিভি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে তিনি ১৩ জুন সুশান্ত সিং রাজপুত এবং রিয়াকে একসঙ্গে দেখেছিলেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *