মুম্বই: রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিককে শুক্রবার সকালে হেফাজতে নিল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। শুক্রবার তাঁকে NCB-র অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। মাদকবিরোধী তদন্ত সংস্থা তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর কিছুক্ষণ পরে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়। সৌভিকের ল্যাপটপও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পর্যবেক্ষক মহলের আশঙ্কা, মাদক-মামলা যে পথে যাচ্ছে, তাতে সৌভিকের গ্রেফতারির সম্ভাবনা বাড়ছে৷ তবে, গোটা বিষয়টি এখনও নির্ভর করছে, সৌভিক তদন্তে কতটা সহযোগিতা করছে, তার উপর৷
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ড্রাগ ব়্যাকেটের অনুসন্ধানের সময় তদন্তকারী সংস্থা বুধবার সৌভিকের দুই পরিচিতকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তকারী সংস্থার আর একটি দল সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ির ব্যবস্থাপক স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ভোর ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ তল্লাশি শুরু হয়। এরপর স্যামুয়েলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য NCB-র অফিসেও নিয়ে যাওয়া হয়। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, Narcotic Drugs and Psychotropic Substances Act, 1985-এর অধীনে তদন্ত চলছে। সূত্রের খবর, ২০ বছর বয়সী ভিলাত্রা সৌভিক চক্রবর্তী এবং স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গাঁজা সরবরাহ করত বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আরেকজন মিডিল ম্যান আবদুল বাসিত পরিহরের খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। বছর তেইশের এই যুবকের সঙ্গে সৌভিক ও স্যামুয়েলের পরিচয় ছিল।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যাই করেছেন সুশান্ত? খুনের এখনও কোনও প্রমাণ পায়নি সিবিআই
রিয়া চক্রবর্তী গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে তিনি “জীবনে কখনও মাদক সেবন করেননি” এবং দাবি করেছিলেন যে তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতকে ড্রাগ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর আইনজীবী সতীশ মানশিন্দেও দাবি করেছিলেন, প্রয়োজন হলে রক্ত পরীক্ষা করাতেও রাজি রিয়া। তিনি মোটেই মাদক নেন না, তা প্রমাণ হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুদিন আগে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে মুম্বই থেকে গ্রেপ্তার হয় আবদুল বাসিত ও জাইদ ভিলাত্রা। রিয়া চক্রবর্তী অ্যাসোসিয়েট স্যামুয়েল মিরান্ডা তাঁকে ও তাঁর ভাই সৌভিককে ড্রাগ এনে দিত এই দুই ব্যক্তি। স্যামুয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আবদুল বাসিতের। এর পিছনে একাধিক তথ্যপ্রমাণও পেয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। তার ভিত্তিতেই শুক্রবার স্যামুলেন ও সৌভিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি শেষে হেফাজতে নেওয়া হয় সৌভিককে।