তারার দেশে হারিয়ে যাওয়া সুশান্তের টান ছিল মহাকাশে, অধরা সমস্ত স্বপ্ন

তারার দেশে হারিয়ে যাওয়া সুশান্তের টান ছিল মহাকাশে, অধরা সমস্ত স্বপ্ন

মুম্বই:  সুশান্ত সিং রাজপুত নেই৷ এই খবরটা এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না বলিউড ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্ড্রাস্টি৷ মানতে পারছে না তাঁর অগণিত ভক্ত৷ গতকাল মাত্র ৩৪ বছর বয়সে একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দেওয়া সুশান্তের জীবনের ইতি পড়ে বান্দ্রার বাড়িতে৷

ফিল্ম দুনিয়ার মানুষ, তাঁর বন্ধু-বান্ধব যখন শোকে বিহ্বল, তখন তারার দেশে চলে যাওয়া এই সত্যিকারের তারকাকে স্মরণ করলেন তাঁর ভক্তরা৷ স্মরণ করলেন তাঁর কিছু ভালোবাসার মুহূর্তকে৷  

মহাকাশের প্রতি অসীম টান ছিল সুশান্তের৷ ছোটবেলা থেকেই অ্যাস্ট্রো-ফিজিক্স এবং নভশ্চর হওয়ার স্বপ্নে বুঁদ ছিলেন তিনি৷ সিনেমার বাইরে কোনও কিছুর প্রতি যদি তাঁর দুর্বার টান থেকে থাকে, তা ছিল মহাকাশ৷ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সবসময়ই থাকত মহাকাশ সম্পর্কিত আপডেট৷ থাকত মেঘের ওপারে লুকিয়ে থাকা অসীম সম্ভাবনার কথা৷  

বছরখানের আগে পরিচালক সঞ্জয় পুরাণ সিং চৌহানের স্পেস ফিল্ম ‘চান্দা মামা দূর কে’ ছবির অফার ঝুলিতে পুরেছিলেন এই অভিনেতা৷ এর জন্য মার্কিন মুলুকে প্রশিক্ষণের জন্যও গিয়েছিলেন তিনি। ছবিটি ছিল প্রথম ভারতীয় নভশ্চর রাকেশ শর্মার বায়োপিক। শোনা যায় এই ছবির গল্প নিয়ে ভীষণরকম উৎসাহী ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত৷ কিন্তু এই ছবি দিনের আলো না দেখায় অধরাই রয়ে যায় সুশান্তের ইচ্ছে৷ পরে ভেবেছিলেন মহাকাশ নিয়ে নিজেই একটি ফিল্ম তৈরি করবেন৷ কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হল না৷

সৌর জগতের প্রতি অদ্ভূত টান অনুভব করতেন সুশান্ত৷ তাঁর চোখ থাকত চাঁদ, তারার দিকে৷ মহাকাশ নিয়ে তিনি যে কতখানি উৎসাহী ছিলেন, তা প্রায় সকলেরই জানা৷ তাইতো শখ পূরণের জন্য কয়েক লাখি (মিড ১৪, এলএক্স৬০০) টেলিস্কোপ ঘরে নিয়ে এসেছিলেন ঘরে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানানে না, তিনি যেখানেই যেতেন, সেখানেই তাঁর সঙ্গে থাকত টেলিস্কোপ৷ এমনকী ফিল্ম সেটেও এই টেলিস্কোপ ছিল তাঁর অন্যতম সঙ্গী৷ সময়ের ফাঁকে চোখ রাখতেন তাতে৷ সময় কাটাতেন তারাদের সঙ্গে৷ সেই তারাদের মধ্যেই বিলীন হয়ে গেলেন তিনি৷

সুশান্তকে মাঝেমধ্যেই দেখা যেত নাসা টি-শার্ট গায়ে জড়াতে৷ হিমালয়ের কোলে কিংবা মুম্বইয়ের ব্যস্ত সড়কে, মহাকাশের প্রতি ভালোবাসা ফুটিয়ে তুলতেন নাসা শার্টের কালেকশনে৷ ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে একবার সুশান্ত তাঁর ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘‘আপনার চোখ আপনাকে যা দেখাচ্ছে, তাতে বিশ্বাস করবেন না৷ এর মধ্যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে৷ বরং উপলব্ধি করুন৷ আপনার জানাকে খুঁজে বার করুন৷ দেখতে পাবেন উড়ে যাওয়ার পথ৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + fourteen =