মুম্বই: মাদক সংগ্রহ সংক্রান্ত অভিযোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হওয়ার পর শুক্রবার তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে যায় মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে। তাই আপাতত ১৪ দিনের জন্য অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর ঠিকানা মুম্বাইয়ের একমাত্র মহিলা কারাগার, বাইকুল্লা জেল। প্রথমে তাঁকে সাধারণ জেলকক্ষে রাখা হলেও পরে পৃথক একটি কক্ষে স্থানান্তরিত খরা হয়েছে। যেখানে তাঁর পাশের কক্ষে রয়েছেন মেয়ে সিনা বোরাকে হত্যার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত ইন্দ্রাণী মুখার্জি। যে ঘটনা গোটা দেশকে স্তম্ভিত করেছিল। ২০১৬ সাল থেকে ইন্দ্রাণী সেখানেই আছেন।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে এই তরুণ বলিউড অভিনেত্রীর। তাই প্রথমে তাঁকে জেলে অন্যান্য অপরাধীদের সঙ্গে একসঙ্গে রাখা হলেও, সেখানে তাঁর ওপর হামলা হতে পারে সেই আশংকা থেকেই নিরাপত্তার কারণে পরে তাঁকে পৃথক একটি কক্ষে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পৃথক ওই জেলকক্ষের বাইরে দুজন নিরাপত্তারক্ষী তিনটি শিফটে ২৪ ঘন্টা অভিনেত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমে উক্ত সূত্রের খবর অনুসারে মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলে ওই কক্ষে না আছে সিলিং ফ্যান, না আছে খাট-বিছানা। শোওয়ার জন্য একটি মাদুর দেওয়া হয়েছে রিয়াকে চাদর বা বালিশ কিছুই দেওয়া হয়নি। জেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন আদালত অনুমতি দিলে একটি টেবিল ফ্যানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে রিয়ার জন্য। করোনভাইরাসজনিত কারণে এই জেলে বন্দীদের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে নিয়মিত দুধ ও হলুদ দেওয়া হয়।
এদিকে জেলহেফাজতের পরেই এনসিবির বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ এনেছেন রিয়া। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি জোর করে তাঁকে দিয়ে বলিয়ে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
তবে শুধু রিয়া নয় সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যুর তদন্তের সঙ্গে জড়িত মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক, সুশান্তের বাড়ির ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং রান্নার লোক দীপেন সাওয়ন্তকেও জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁদের জামিনের আবেদনও নামঞ্জুর হয়েছে মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালতে।