মুম্বই: গুলশন কুমার হত্যাকাণ্ডে গ্যাংস্টার দাউদ ঘনিষ্ঠ অপরাধী আবদুল রউফ মার্চেন্টের যাবজ্জীবন কারদণ্ডের শাস্তি বহাল রাখল বোম্বে হাইকোর্ট। গুলশন কুমার খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার আগের রায়ই বহাল রাখলেন বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি এস এস যাদব এবং এন আর বরকার। এই ঘটনায় ২০০২ সালে রউফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল বোম্বের এক আদালত। এদিন গুলশন কুমার হত্যা মামলায় বোম্বে হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, রউফের ক্ষেত্রে কোনওভাবেই উদার মনোভাব পোষণ করার প্রয়োজন নেই। কারণ এর আগেও প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিল রউফ এবং পুনরায় অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল৷
বোম্বে হাইকোর্ট বলে, ‘২০০২ সালে আবদুল রউফ নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়। আইপিসির ৩০২ ও ৩০৭ ধারায় যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত৷ আমরাও সেই রায়ই বহাল রাখছি। তবে রউফের বিরুদ্ধে যুক্ত হওয়া ১২০-বি ধারা থেকে ওকে বেকসুর করা হচ্ছে।’ প্রসিকিউনের তরফে আদালতে দাবি করা হয়, গুলশন কুমারের ব্যবসায়িক শত্রুরা তাঁকে খুন করার জন্য দুবাইয়ের গ্যাংস্টার আবু সালেমকে টাকা দিয়েছিলেন৷ ১৯৯৭ সালের ১২ অগস্ট, মন্দির থেকে ফেরার পথে মুম্বইয়ের জুহু এলাকায় টি-সিরিজের মালিক গুলশন কুমারকে খুন করা হয়৷ তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল৷ এই মামলায় অনেকই গ্রেফতার হন। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নামে এখনও মামলা চলছে।
এই ঘটনায় বোম্বে হাইকোর্টে মোট ৪টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলা করা হয়েছিল আবদুল রউফ, রাকেশ চাঞ্চায়া পিন্নম এবং রাকেশ খাওকারকে দোষী সাব্যস্ত করার বিরুদ্ধে৷ বলিউডের প্রযোজক রমেশ তৌরানীকে বেকসুর খালাস করার বিরোধিতা করেও একটি মামলা হয়। সুরকার নাদিম সাইফির বিরুদ্ধেও গুলশন কুমারকে খুনের ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান।