মুম্বই: পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রা৷ সোমবার গভীর রাতে রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ৷ অভিযোগ, অশ্লীল ছবি তৈরি করে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতেন রাজ৷ এই ঘটনার অন্যতম মূল চক্রী তিনি৷ রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণও রয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে৷ এই মামলায় ইতিমধ্যেই পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে৷
আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন অবতরে নুসরত, কী বার্তা দিলেন হবু মা?
মুম্বই পুলিশের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পর্নোগ্রাফি তৈরি করে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে তা প্রকাশ করা নিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি মামলা দায়ের করেছিল মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তদন্তের পর এই মামলায় আমরা রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করেছি। তিনি এই মামলায় মূল ষড়যন্ত্রকারী বলেই মনে করা হচ্ছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে।’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানিয়েছেন রাজ৷
মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সোমবার মুম্বই পুলিশের প্রপার্টি সেল রাজ কুন্দ্রাকে ডেকে পাঠিয়েছিল৷ রাত ৮ টা নাগাদ তিনি হাজিরা দেন। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷ এর আগে মুম্বইয়ের মালবানী ক্রাইম ব্রাঞ্চে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল৷ অপরাধ সংখ্যা ১০৩/২০২১ অধীনে মামলা দায়ের হয়েছিল৷
কুন্দ্রার আগে উমেশ কামাত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ নবি মুম্বইয়ের বাসিন্দা তিনি৷ তাঁর দাবি, তিনি কুন্দ্রার সংস্থায় কাজ করেন৷ ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় এক অভিনেত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ তাঁর বয়ানেও উঠে এসেছিল এই কামাতের নাম৷ জানা যায় ব্রিটেনের একটি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়কারীর কাজ করতেন কামাত৷ ওই মডেল অভিনেত্রীর থেকে অশ্লীল ভিডিয়ো নিতেন তিনি৷
জানা গিয়েছে এই ব্যবসায় ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন রাজ কুন্দ্রা। বানিয়েছিলেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম৷ ছবি শ্যুটিংয়ের পর তা নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হত বিদেশে। পরে তা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম এই অশ্লীল ছবি তৈরির চক্র ফাঁস হয়৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মালাডের (ওয়েস্ট) মাধ এলাকার একটি বাংলোয় অভিযান চালায় মুম্বই পুলিশের প্রপার্টি সেল৷ ওয়েব সিরিজ এবং শর্ট ফিল্মে কাজ দেওয়ার নামে তরুণ-তরুণীদের অশ্লীল ছবির চক্রে ফাঁসানোর অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতারও করা হয়। ভুল বুঝিয়ে ওই তরুণ-তরুণীদের অশ্লীল ছবিতে অভিনয় করতে বাধ্য করা হত বলেও অভিযোগ।