করাচি: করোনা আবহে আরও এক দুঃসংবাদ। ভাঙা হচ্ছে পাকিস্তানে রাজ কাপুরের জন্মভিটে কাপুর হাভেলি। তার পরিকল্পনাও নাকি শুরু হয়ে গেছে। সম্প্রতি এই খবর সামনে আসার পর হইচই শুরু হয়ে গেছে সিনেপ্রেমীদের মধ্যে। নেটদুনিয়ায় অনেকেই এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু শোনা যাচ্ছে কাপুর হাভেলির বর্তমান মালিক নাকি এই হাভেলি ভেঙে অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্স বানাতে চান।
দেশভাগের আগে এখানেই থাকতেন পৃথ্বীরাজ কাপুর। তারপর ভিটেমাটি ছেড়ে পরিবার নিয়ে তিনি মুম্বাই চলে আসেন। বলিউডের শুরু করেন তার ফিল্ম কেরিয়ার। জরাজীর্ণ অবস্থাতেই পড়ে থাকে পেশোয়ারে তার জন্মভিটে। এটি স্থানীয়দের গর্বের বিষয়। কিন্তু অভিযোগ হাভেলির রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি একেবারেই। ১৯৮০ সাল নাগাদ ঋষি কাপুর ও তার দাদা রণধীর কাপুর পাকিস্তানের তাদের পৈত্রিক ভিটে দেখতে যান। তখনও একবার ভবনটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কথা উঠেছিল।
এরপর ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ঋষি কাপড়কে আশ্বাস দেন তাদের পৈত্রিক ভিটে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। মিউজিয়ামে পরিণত করা হবে পৃথ্বীরাজ কাপুরের বাবা বশেশ্বরনাথ কাপুরের তৈরি হাভেলিটিকে। কিন্তু তার পরেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি কাপুর হাভেলিকে। বাড়িটির অবস্থা এখন এমন, যে কোন মুহূর্তেই তা ভেঙে পড়তে পারে।
শোনা যায় পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সরকার নাকি ঋষি কাপুরের অনুরোধে ভবনটি কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান মালিক শহরের সোনা ব্যবসায়ী হাজি মহম্মদ ইসরার রাজি হননি। উল্টে নাকি তিনি বেশ কয়েকবার হাভেলি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তার নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে ‘খাইবার পাখতুনখোয়া হেরিটেজ ডিপার্টমেন্ট’। সূত্রের খবর প্রায় পাঁচ কোটি টাকার কাপুর হাভেলি নিয়ে সরকার ও মালিক পক্ষের মধ্যে কোনো রফা হয়নি। আর সরকার এবং মালিক পক্ষের টানাপোড়েনে ক্রমাগত ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে পেশোয়ারের পৃথ্বীরাজ কাপুর ও রাজ কাপুরের জন্মস্থান। গোটা বিষয় নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজন। কাপুর হাভেলি এভাবে হেলায় নষ্ট হবে, তা মেনে নিতে পারছেন না কেউই।