কলকাতা: নব্বইয়ের দশকে বাংলা সিনেমার রোমাঞ্চ তৈরি হয়েছিল প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণাকে ঘিরে৷ পর্দায় তাঁদের রোমান্স বাংলার সিনেপ্রেমীদের মনে শিহরণ জাগাত৷ তিন দশক পর শুভদৃষ্টি সারতে চলেছেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা৷ তাঁরা আর একে অপরের ‘প্রাক্তন’ নন, বরং হতে চলেছেন বর্তমান৷
আরও পড়ুন- ৩ বছরও পেরয়নি বিয়ের বয়স! ঘর ভাঙছে জিতু-নবনীতার? বিচ্ছেদের জল্পনা তুঙ্গে
এমনিতেই প্রেমের মাস চলছে৷ তার উপর সপ্তাহের প্রথম দিনই ভ্যালেন্টাইন্স ডে৷ এমন এক সকালে সকলকে চমকে দিয়ে বিয়ের কার্ড পাঠালেন একদা বাংলা সিনেমার হিট জুটি৷ ‘সবিনয় নিবেদন’ জানিয়ে বিয়ের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছল মানুষের ফোনে ফোনে৷ তাতে লেখা হয়েছে, ‘বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার পর এবার আমরা নতুনভাবে আপনাদের সামনে ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’। গুরুজনদের আশীর্বাদ ও সকলের ভালোবাসা নিয়ে আমরা আগামীর পথ চলতে চাই। পাকা দেখা থেকে বিয়ের সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সম্রাট শর্মা ও তার হাট্টিমাটিম টিম। বিয়ের ঘটকালির দায়িত্বে পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের তত্ত্বাবধানে মোহর ও শর্মিষ্ঠা। ডিজিটাল পত্রদ্বারা নিমন্ত্রণের ত্রুটি মার্জনীয়।’ চিঠির শেষে লেখা, ‘ইতি, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত’।
এখানেই শেষ নয়, বিয়ে সম্পর্কিত যে কোনও তথ্য জানতে চাইলে মোহর বা শর্মিষ্ঠার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বলে রাখা ভালো, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পেশাগত সমস্ত কাজ দেখাশোনা করেন মোহর। আর শর্মিষ্ঠা হলেন, ঋতুপর্ণার ম্যানেজার৷ তবে ঋতু-প্রসেনের পাকা দেখা থেকে বিয়ে, সমস্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সম্রাট শর্মা। একটি সংবাদমাধ্যমকে সম্রাট জানান, ‘‘বেশ কিছু দিন ধরেই পাত্র-পাত্রীর খোঁজ চলছিল। বিয়ের মরশুম চলছে৷ তার উপর প্রেমের মাস। এর থেকে ভাল দিন আর কী হবে পারে৷ খুব শিগগিরি শুভ লগ্ন দেখে বিয়ের তারিখ ঘোষণা হবে।’’
আসলে বিষয়টা হল, ফের পর্দায় জুটি বাঁধতে চলেছেন ঋতুপর্ণা আর প্রসেনজিৎ জুটি৷ ছহির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েথে সম্রাট৷ তারই প্রচারে শোরগোল পড়েছে৷ তবে এই ছবি নিয়ে এর চেয়ে বেশি আর কিছুই বলতে চাননি কলাকুশলীরা৷