কলকাতা: ব্যোমকেশ, ফেলুদাকে পর্দায় দেখতে দেখতে ক্লান্ত দর্শকরা। তাই তারা বোধহয় চাইছেন একটু ভিন্ন স্বাদ। তাই দর্শকদের কথা ভেবেই শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্ম আনছে এক অন্য চমক, যা নিয়ে এর আগে তৈরি হয়নি কোনো সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ। চমকটা হল, প্রফেসর শঙ্কু। সত্যজিৎ রায়ের আরেকটি অমর সৃষ্টি শঙ্কু আসছে এবার এসভিএফের পর্দায়। ছবির নাম ‘প্রফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো’।
সৌজন্যে থাকছেন, সন্দীপ রায়। সত্যজিতের জন্মদিনে মুক্তি পেয়েছে তারই মোশন পোস্টার। যদিও গল্পের আসল নাম এটা নয়। সত্যজিৎ রায় লিখেছিলেন, ‘নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো’। সেই গল্পের অবলম্বনেই ছবি তৈরি করতে চলেছেন সন্দীপ রায়। সত্যজিতের সৃষ্টি এই নকুড়বাবু চরিত্রটি ভবিষ্যৎদ্রষ্টা।
ব্রাজিলের সাও পাওলোতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান প্রফেসর শঙ্কু। কিন্তু শুভাকাঙ্খী নকুড়বাবু জানান, সেখানে তাঁর বিপদ রয়েছে। বিপদ থেকে প্রফেসরকে বাঁচাতে তাঁর সফরসঙ্গী হন নকুড়বাবু। ব্রাজিলে গিয়ে সলোমন ব্লুমগার্টেন নামে এক ব্যক্তির চোখে সোনার খনি ‘এল ডোরাডো’ নিয়ে লালসা দেখতে পান নকুড়বাবু। জানতে পারেন, দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশ ঘুরেও এল ডোরাডোর সন্ধান পাননি সলোমান। টাকার লোভে প্রফেসরের সঙ্গী নকুড়বাবু তাঁর সফরসঙ্গী হন।
কিন্তু সত্যিই কি প্রফেসরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নকুড়বাবু? আর এল ডোরাডো? সোনার শহর কি সত্যিই বর্তমান? নাকি নকুড়বাবুর অলৌকিক শক্তির সাহায্যেই একমাত্র তা বাস্তবে আনা সম্ভব? গল্পের বই যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের জানা এই গল্প। এখন সন্দীপ রায় কীভাবে তাঁকে পর্দায় প্রতিফলিত করবেন, সেটাই দেখার।