মুম্বই: মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এবং তাঁর স্বামী অভিনেতা কুনাল ভার্মা প্রথম সন্তানকে স্বাগত জানাতে চলেছেন। বহু বছর ধরে ডেট করছিলেন তাঁরা। এই বছর লকডাউনের মধ্যেই দুজনে গাঁটছড়া বাঁধেন। সম্প্রতি, কুনাল পূজার জন্য বেবি শাওয়ার হোস্ট করেছিলেন। তার অনেক ছবি ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আসছে অশালীন মেসেজ, হাই কমিশনের দ্বারস্থ শ্রাবন্তী
অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে বেবি শাওয়ার তাঁর স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া বিরল সারপ্রাইজগুলির মধ্যে একটি। তিনি বলেন, “ওরা বলে যে গর্ভাবস্থায় আবেগ বেশি থাকে। আমি খুব সংবেদনশীল ব্যক্তি, সুতরাং কুনালের প্রচেষ্টা আমার অত্যন্ত ভাল লেগেছে। এমনকি আমাদের বন্ধুরা ও পরিবার যারা আমাদের সঙ্গে দেখা করেছিল তারাও কিছুদিন আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য নিজেকে আলাদা করে রেখেছিল। কুনাল সবকিছুই গুছিয়ে রেখেছিল। আমি খুব অবাক হয়েছিলাম কারণ ও সাধারণত সারপ্রাইজ দেওয়ার ক্ষেত্রে একেবারেই ভাল নয়। তবে এবার ও যা করেছে তার জন্য আমি খুব খুশি। বেবি শাওয়ার আমার স্বামীর থেকে পাওয়া বিরল সারপ্রাইজগুলির মধ্যে একটি। আমি অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম। গত কয়েক মাসে আমরা প্রায় একা হয়ে পড়েছি। আমার বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে দেখা করিনি। তাই এটি আমার জন্য একটি আবেগময় মুহূর্ত ছিল।”
আরও পড়ুন: জয়ার বক্তব্যে হুমকির মুখে বচ্চন পরিবার, নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়াল মহারাষ্ট্র সরকার
তিনি কীভাবে মাতৃত্বকে বরণ কর নিতে প্রস্তুত হচ্ছেন? এই নিয়ে পূজা বলেছিলেন, “জীবন প্রতিদিন পরিবর্তিত হচ্ছে। আমরা আমাদের সন্তানের আগমনের দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমি এই দুর্দান্ত যাত্রা শুরু করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। কারণ আমি মা হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। আমি আশা করি যে আমি পরের বছর কাজে ফিরে আসতে পারব। আমি আমার কাজ এবং আমার সন্তানকে সমানভাবে সময় দিতে পারব বলে মনে হয় আমার। আমি নিশ্চিত যে আমার সন্তানের বিশেষ মুহূর্তগুলি মিস করব না।” অভিনেত্রী তার বাচ্চাকে কীভাবে লালন-পালন করতে চান সে সম্পর্কে তাঁর ধারণাগুলি ভাগ করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি তাঁকে অন্য যে কোনও কিছুর চেয়ে ভাল মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করব। আর বাকি পথটা ভগবান গড়ে দেবেন। এখন আমরা প্রার্থনা করছি সব যেন ভালয় ভালয় মিটে যায়। আমাদের সন্তান যেন সুস্থ ও নিরাপদভাবে পৃথিবীতে আসে। এটা কোনও মহিলার জন্য সেরা এবং অনন্য অভিজ্ঞতা। এটি আমার জীবনের অন্যতম বিশেষ সময়।”